বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কার্তিকের শুরুতে এমন আবহাওয়া আরও একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে শীতের আগমনী বার্তা বইতে শুরু করেছে। রাতে মৃদু বাতাসে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। উত্তর থেকে আসছে শীতল হাওয়া, ফলে এরই মধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি শেষ হলে ঠাণ্ডার প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, অসময়ের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বাইরে দিনভর সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিল খুবই কম। দিনে একবারও সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিনই ঝরছে বৃষ্টি। পেশার তাগিদে বা জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন, জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা বা ইজিবাইক না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয়েছে সবার।
টানা বৃষ্টিতে খুলনাঞ্চলের কিছু কিছু জমির শীতকালীন আগাম শাকসবজি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তারা জানান, শীতকালীন শাকসবজি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার খুব একটা লাভ হবে না তাদের। তবে, নতুন যারা ধান লাগিয়েছে, তাদের জন্য উপকার হবে। একারণে কেউ কেউ বলছেন, কার্তিকের শুরুতে এই বৃষ্টি কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।
ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে হালকা বাতাস। তবে, কোনো সংকেত নেই। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল নাগাদ আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরের লঘুচাপ কেটে গেলেই শীত চলে আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের পর শীত অনুভূত হবে।
তিনি জানান, এই বৃষ্টিতে যারা নতুন ধান লাগিয়েছেন, তাদের লাভ হচ্ছে। কিন্তু, শীতকালীন শাকসবজি ও পাকা ধানের জন্য ক্ষতি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এমআরএম/একে