ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

আবারও ২১টি ডিম দিয়েছে করমজলের ‘বাটাগুর বাসকা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আবারও ২১টি ডিম দিয়েছে করমজলের ‘বাটাগুর বাসকা’

বাগেরহাট: বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২১টি ডিম দিয়েছে ‘বাটাগুর বাসকা’। এ নিয়ে ৫ম বারের মত করমজলে ডিম পারল বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’। 

শুক্রবার (২৭ মার্চ) করমজল প্রজনন কেন্দ্রে বিলুপ্ত প্রজাতির আরও একটি কচ্ছপ এ ডিম দেয়। ডিমগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানো হবে।

এতে ৬৫ থেকে ৬৭ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগ।

এর আগে ২০১৭ সালে দুটি বাটাগুর ৬৩টি ডিম দেয়, যা থেকে ৫৭টি বাচ্চা হয়। পড়ে ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপ ৪৬টি ডিম দেয়, তাতে ২৪টি বাচ্চা ফোটে। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপ ৩২টি ডিম পাড়ে ও ৩২টি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। সর্বশেষ এ বছরের ১০ মার্চ একটি কচ্ছপ ৩৫টি ডিম দেয়। ডিমগুলো এখন বাচ্চা ফুটানোর জন্য বালুর মধ্যে রয়েছে।

সুন্দরবন করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির  বলেন, একটি কচ্ছপ ২১টি ডিম দিয়েছে। আমরা সবগুলো ডিমই প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) করে বাচ্চা ফুটানোর চেষ্টা করব। আশা করি ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে সবগুলো ডিম থেকে বাচ্চা বের হবে।

উল্লেখ, ২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে।  

বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভাল সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। চারটি কচ্ছপের ডিমে বাচ্চা ফোটার পরে বর্তমানে এখানে ১৮৩টি কচ্ছপ রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।