ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ধরলার পানি ছুঁয়েছে বিপৎসীমা, ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্রেরও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
ধরলার পানি ছুঁয়েছে বিপৎসীমা, ছুঁই ছুঁই করছে ব্রহ্মপুত্রেরও

কুড়িগ্রাম: অবিরাম বর্ষণ আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। আর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল ৯টায় ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে (২৬.৫০ সেন্টিমিটার) এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার (২৩.৭০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

এসব এলাকার নিমজ্জিত হয়েছে ফসল ও গ্রামীণ সড়ক। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে পাট, ভুট্টা, সবজি খেত, বীজতলাসহ তিল, আউশ ধান ও কাউনের খেত।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। পানি যে হারে বাড়ছে তাতে দুপুরে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কুড়িগ্রামের শহর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার করায় এবার ধরলার পানি শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। আর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নদী ভাঙনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। কিছু কিছু ভাঙন কবলিত এলাকায় আমরা জরুরিভিত্তিতে কাজ অব্যাহত রেখেছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, বন্যা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এফইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।