মৌলভীবাজার: বাইক্কাবিল মানেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে হরেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আর মাছের সমাহার। একইসঙ্গে বছরজুড়ে দেশি প্রজাতির পাখিদের নিত্য আনাগোনা।
বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে প্রকৃতিতে এখন শরতের আবির্ভাব। নীলাকাশের নিচে এমন প্রকৃতির মাঝে উঁকি দিয়েছে পদ্মফুল। এখন শতসহস্র পদ্মফুলে দৃষ্টিনন্দন বাইক্কাবিল। শুধু বাইক্কাবিলই নয়, সংরক্ষিত এ জলাশয়ের পাশে অবস্থিত হাইল হাওরেও ফুটেছে মনোমুগ্ধকর পদ্মফুল।
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুধুই গোলাপি-সাদা পদ্মফুলের সৌন্দর্যের সার্থক রূপ। এই পদ্মশোভিত মুগ্ধতা খুব সহজেই মন কাড়ে পর্যটকদের। এ ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Nelumbo nucifera।
হাইল-হাওর এখন একটি নয়নাভিরাম জলাভূমি। যেখানে ফোটে হাজারো শাপলা আর পদ্মফুল। এখানে পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমীদের পদভারে মুখরিত থাকে প্রায় সারাবছরই।
সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর স্থানীয় সাইট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর দু’টি সময়ে পদ্মফুলের সৌন্দর্য মন কাড়ে। মার্চ-এপ্রিল এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে এর ফুল ফোটার সময়। তখন হাওরে যেন পদ্মফুলের মেলা বসে।
হাওরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে, আমাদের হাওরে এখন পদ্মফুলের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য রয়েছে। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধুই এই গোলাপি আর সাদা ফুলের উপস্থিতি।
সিএনআরএস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জলাভূমি হিসেবে হাইল-হাওরের গুরুত্ব সর্বদাই স্বীকৃত। ‘বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল’ এ হাওরকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
এ হাওর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলগুলোর অন্যতম। হাওরটি ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাসভূমি ও ১৬০ প্রজাতির পাখির বিচরণক্ষেত্র। শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাথিদের মিলনমেলা বসে এখানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ২৮ আগস্ট, ২০২০
বিবিবি/এএ