ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শীতে জবুথবু পঞ্চগড়ের জনজীবন!

সোহাগ হায়দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
শীতে জবুথবু পঞ্চগড়ের জনজীবন!

পঞ্চগড়: দেশের সর্বউত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় টানা দুইদিন ধরে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।   বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

এদিকে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়ে জেলার জনজীবন। তীব্র শীত শুরু হওয়ায় লোকজন যেমন কাহিল হয়ে পড়ছে তেমনি প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলায় সূর্যের মুখ দেখা মিললেও ছিলো না উত্তাপ। এতে করে দিনভর গরমকাপড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে জেলার সর্বসাধারণকে।  

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হিমালয়ের কাছাকাছি এ জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ে সহজেই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিম বায়ু প্রবেশ করায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সর্ব নিম্ন রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসতে পারছে না। এক সপ্তাহ ধরে আকাশে মেঘ জমে থাকায় এবং কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনেরবেলা সূর্য উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। যে কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  

অন্যদিকে দিনভর কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস বইতে দেখা গেছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো কুয়াশা। শীতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ২১ হাজার ২০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।