ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ফের ডিম দিলো করমজলের ‘বাটাগুর বাসকা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
ফের ডিম দিলো করমজলের ‘বাটাগুর বাসকা’ ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিলো বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রটির কচ্ছপ লালন-পালনের পুকুর পাড়ে একটি কচ্ছপ ২৭টি ডিম দেয়।

 

ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ইনকিউবেশন (বালুর মধ্যে রেখে) ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিন শেষে এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে বলে করমজলের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

আজাদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির এই কচ্ছপ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে লালন-পালন করছি। বংশ বৃদ্ধির জন্য সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি। এর আগেও আমাদের এখানে কচ্ছপ ডিম দেয়। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছে। রোববার বিকেলে একটি কচ্ছপ ২৭টি ডিম দেয়। ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ইনকিউবেটরে রেখেছি। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে। বর্তমানে আমাদের এখানে তিন শতাধিক কচ্ছপ রয়েছে।

২০১৭ সালে দু’টি কচ্ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি; ২০১৮ সালে দু’টি কচ্ছপের ৪৬ ডিম থেকে ২১টি; ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি ও ২০২০ সালের ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা পাওয়া গেছে। এসব বাচ্চা থেকে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত করে বনবিভাগ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে ১০টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।

২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন, পৃথিবীতে বাটাগুর বাসকার আর কোনো অস্তিত্ত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কি-না তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। পরে প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকা গুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভালো সারা না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।