গাজীপুর: গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হরিণ, বানর, জেব্রা, ময়ূর এমনকি বাঘ পরিবারেও বংশ বাড়ছে। কিন্তু পুরুষ জিরাফ না থাকায় সদস্য বাড়ছে না জিরাফ পরিবারের সদস্যের সংখ্যা।
দর্শনার্থী ও কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হাতি, ময়ূর, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, বানর, জিরাফ, জেব্রা, কুমির, সাপ, নীলগাই, উটপাখিসহ প্রায় ৭০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। এসব প্রাণীর প্রায় প্রত্যেক পরিবারের বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে এ পার্কে প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নতুন করে অর্থ ব্যয় করে এসব বন্যপ্রাণী কিনতে হচ্ছে না। কিন্তু পুরুষ জিরাফ না থাকায় এ পরিবারে বংশ বাড়ছে না। ফলে একসময় জিরাফশূন্য হয়ে পড়বে সাফারি পার্ক। অথচ বংশ বৃদ্ধির কারণে এ পার্কে গত দুই বছরে একই সঙ্গে থাকা জেব্রা পরিবারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় একাধিক পুরুষ জিরাফ রয়েছে। সেখান থেকে আনা সম্ভব হলে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেও জিরাফের বংশবৃদ্ধি হতো। বন্যপ্রাণী ও ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তারা চেষ্টা করলে হয়তো তা সম্ভব হতে পারে। এতে দেশে জিরাফের সংখ্যাও বাড়তো। কোনো কিছুরই বংশ না বাড়লে একদিন তা বিলীন হয়ে যাবে। তেমনি জিরাফ পরিবারেও বংশবৃদ্ধি না হলে একদিন হয়তো দেশ জিরাফশূন্য হয়ে পড়বে।
আওলাদ হোসেন মামুন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, দীর্ঘদিন পর সাফারি পার্কে উন্মুক্ত বনের ভেতর বন্যপ্রাণী দেখতে এসেছি। এ পার্কে অসংখ্য হরিণ, বানর, জেব্রা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, হাতি, বনগাই, সাপ ও কুমিরসহ অসংখ্য পাখি। বনের ভেতর আলাদা আলাদা বেষ্টনীতে উন্মুক্তভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এসব বন্যপ্রাণীকে। গাড়ির ভেতর বসে দেখতে খুবই চমৎকার লাগে। বনের ভেতর লম্বা গলায় উঁচু গাছের লতা-পাতা খাচ্ছে তিনটি জিরাফ। এসব বন্যপ্রাণী বনের ভেতর ঘাস ও লতা-পাতা খাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ। ভালোই লাগে দেখতে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, এখানে বন্য প্রাণীদের মধ্যে প্রায় সবারই বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে, বর্তমানে তিনটি মাদী জিরাফ থাকলেও পুরুষ সঙ্গী না থাকায় তাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না। পুরুষ জিরাফ আনা হলে এ পার্কে জিরাফ পরিবারেও বংশবৃদ্ধি হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
আরএস/এএটি