ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সাফারি পার্কে পাতাগোনিয়ান মারা

শ্রীপুর প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
সাফারি পার্কে পাতাগোনিয়ান মারা ...

গাজীপুর: দেখতে খরগোশের মতো আবার কিছুটা হরিণের মতো এমন প্রাণী বাংলাদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি।

আর্জেন্টিনার এই প্রাণীটি এখন শোভা পাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে।

নাম পাতাগোনিয়ান মারা ।   শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কিংডম বেষ্টনীর ভেতরে ছুটাছুটি করেতে দেখা যায় দুটি প্রাণীকে।

৩ মার্চ ভারতে পাচার করার সময় সাতক্ষীরা কলারোয়ার তুশখালী সীমান্ত অঞ্চল থেকে ৭টি পাতাগোনিয়ান মারা উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। উদ্ধার হওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত এগুলো বিজিবির তত্ত্বাবধানে ছিল। এর মধ্যে একটির মৃত্যু হয়।

পরে (২২ আগস্ট) বাকি ছয়টি প্রাণীকে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বনবিভাগ এগুলোকে আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়ান মারা বলে শনাক্ত করে। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে একটি প্রাণীর জন্ম হয়। তবে একে একে মৃত্যু হয় আগের পাঁচটির।

খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে সাফারি পার্কে আর্জেন্টিনার এ প্রাণী দুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পাতাগোনিয়ান মারার বসবাস উপযোগী বেষ্টনী তৈরি করে এদেরকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। প্রাণীগুলো বর্তমান সুস্থ আছে। স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে। তবে এখনো লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি ওরা পুরুষ না মেয়ে। এই প্রাণীরগুলোর সঙ্গে পার্কে আসা দর্শনার্থীদের পরিচিত হওয়ার জন্য অতিদ্রুত একটি বেষ্টনীতে রেখে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

সাফারি পার্কের ভেটেনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, এগুলো বাংলাদেশের প্রথম পাতাগোনিয়ান মারা। এরা দেখতে খরগোশ আকৃতির। খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রীয় প্রাণী এরা। এদের সামনের পায়ের তুলনায় পেছনের পা দুটি বেশি লম্বা। হেঁটে চলাফেরা করলেও প্রায় খরগোশ বা ক্যাঙ্গারুর মতো লাফিয়ে চলে। গায়ের রঙ সাধারণত বাদামি কালো মিশ্রিত দেখা যায়।

এরা এক থেকে দু'বার বাচ্চা প্রসব করে। এরা সাধারণত ২৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ওজনে ৮ থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত হয়। এদের গড় আয়ু ১৪ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।