গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্থানীয়দের কাছে 'অচেনা জন্তু'টি শিয়ালও হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান। ওই জন্তুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা ও হামলা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ অক্টোব) বিকেল ৫টার দিকেউপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক কেওয়াবাড়ী গ্রামে আতঙ্কিত জনগণকে তিনি বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের বন্যপ্রাণী দেখলে-মুখোমুখি হলে তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করতে যাবেন না, এতে তারা আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই নিজেকে শান্ত রেখে নিজেদের যতটা সমম্ভ দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। এসব গ্রামে যে প্রাণী মানুষকে আক্রমণ করছে, সেটা পাগলা শিয়াল হতে পারে। কারণ, শিয়ালের ৫০টির মতো উপপ্রজাতি রয়েছে। তাদের আকার, আকৃতি ও রঙ বিভিন্ন ধরনের হয়। শিয়ালের স্বভাব হচ্ছে দুই বা তারও বেশি শিয়াল যখন একত্রে থাকে, তখন কোনো লোককে একা পেলে আক্রমণ করতে পারে। শিয়াল নিশাচর প্রাণী। যখন তাদের খাদ্যের অভাব হয়, তখন তারা দিনেও লোকালয়ে আসে।
শিয়াল, কুকুর, বিড়ালসহ হিংস্র বিভিন্ন বন্যপ্রাণী জলাতঙ্ক রোগের র্যাবিস ভাইরাস বহন করে থাকে। এসব প্রাণী যখন নিজেরা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়, তখন তারা মানুষ ও যে কোনো প্রাণীকে কামড় দিলে তারাও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে। শিয়াল কিংবা কুকুরের জলাতঙ্ক হলে তারা পাগল হয়ে থাকে। সামনে যাকে পায়, তাকেই কামড় দেয়। তারা উদ্দেশ্যহীনভাবে একদিকে দৌড়াদৌড়ি করে। সে কারণে মানুষ বা গবাদি পশু আক্রান্ত হলে তাকে যতদ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
গত প্রায় দেড় মাস ধরে উপজেলার হরিনাবাড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ধারাবাহিকভাবে এক ধরনের প্রাণীর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ অনেকেই আক্রমণের শিকার হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন স্থানীয় মসজিদের এক ইমাম। বাদ পড়ছে না গবাদি পশুও।
তালুকজামিরা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। ভুক্তভোগীদের দাবি, জন্তুটি দেখতে কুকুর কিংবা শিয়ালের মতো, শরীরে রয়েছে ডোরাকাটা দাগ। পশুটির সামনের পা দু'টি ছোট। মাথা ও লেজ বেশ বড়। এ ধরনের প্রাণী এলাকার কেউ আগে কখনো দেখেনি।
আরো পড়ুন:
পলাশবাড়ীতে ‘অচেনা জন্তুর’ আক্রমণে দিশেহারা মানুষ!
ছড়িয়ে পড়ছে 'অচেনা জন্তুর' আতঙ্ক
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এসআই