ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হাইল হাওরে বিপন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
হাইল হাওরে বিপন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত হাইল হাওরে পোনা অবমুক্তিকরণ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে দেশি প্রজাতির বিপন্ন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। জেলায় মৎস্যজাতীয় আমিষের যোগান বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে প্রাণিজ পুষ্টি সরবরাহের লক্ষ্যে এই পোনা মাছ অবমুক্তির উদ্দেশ্য।

রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে মির্জাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওরের চিরুয়াডুবি বিলের অংশে ২০২১-২০২২ আর্থিক সালে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ (এনএটিপি-২) (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় এসব দেশিয় প্রজাতি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা) এর সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস সহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ব্যস্ততার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত না হওয়ায় তার পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারাজুল কবির, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট (এনএটিপি-২) প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মকছেদুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক প্রমুখ।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাইল হাওরে বিপন্ন প্রজাতির চিতল মাছ (Chitala chitala) ও দেশি মাগুর মাছের (Catfish) পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক জলাভূমি হাইল হাওর। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে এই হাওর প্রসারিত হয়ে পড়ে ১৪ হাজার হেক্টর এলাকায়। আর শুকনো মৌসুমে বিস্তৃতি থাকে চার হাজার হেক্টর। তবে গড় হিসেবে হাইল হাওরের আয়তন ১০ হাজার হেক্টর।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।