মৌলভীবাজার: বনবিভাগের বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কাছে একটি আহত খয়রা-হাঁড়িচাচা পাখি হস্তান্তর করেছেন জীববৈচিত্র্য রক্ষা বিষয়ক সংগঠন মিতা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে আহত পাখিটিকে উদ্ধার করে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার বনবিভাগের শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কাছে আহত পাখিটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সদস্য সুব্রত সরকার এবং মিতা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, সুরজিত দাস গোপাল, অপু হরিজন প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডের লন্ডন রেস্টুরেন্টের সামনে একটি খয়রা-হাঁড়িচাচা পাখি আহত অবস্থায় পড়েছিল। পরে মিতা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় শুশ্রুষার পর বনবিভাগের হাতে তুলে দেন।
মৌভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, পাখিটিকে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশের পাখি সূত্রে জানা যায়, খয়রা-হাঁড়িচাচা (Rufous Treepie) লম্বা লেজের অতি সাহসী পাখি। এই পাখি দৈর্ঘ্যে প্রায় কাকের মতো। দেহ ৪৬ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তার পুরো দেহ লালচে-বাদামি। পুরো মাথা কালো। তবে পিঠ লালচে-বাদামি।
হাঁড়িচাচা কাক গোত্রের পাখি। দেখতে অনেকটা পাতিকাকের মতো। এরা তুখোড় লড়াকু, দুঃসাহসী ও দক্ষ শিকারি। গ্রামাঞ্চলে এদের তেড়ে নামে চেনে। মজার ব্যাপার হচ্ছে–কোকিল সুযোগ পেলেই এদের বাসায় ডিম পাড়ে। আর এরা বোকার মতো কোকিলছানাদের খাওয়ায় এবং লালন-পালন করে। পাখিটি সারা দেশেই আছে, সহজে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
বিবিবি/এমজেএফ