ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

এ কী ধরনের বীভৎসতা!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪
এ কী ধরনের বীভৎসতা!

ঢাকা: বীভৎসতার একটা সীমা থাকে, তাই বলে এত! মানুষ কত নিচে নামলে এরকম কাণ্ড করতে পারে!

ঘটনা ২০১২ সালের। ব্রাজিলের এক দম্পতি হোর্হে বেলত্রাও নেগ্রোমন্তে দ্য সিলভেরিয়া ও ইসাবেল ক্রিস্টিনা পাইরেস।

নিজেরা পেস্ট্রি বানিয়ে প্রতিবেশী, স্কুল ও বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্রি করেন।

সবাই জানে এগুলো টুনা (সামুদ্রিক মাছ) ও মুরগীর মাংস দিয়ে বানানো। খেতে সুস্বাদু, দেদারসে বিক্রিও হয়।

কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পেস্ট্রিগুলো মোটেও টুনা বা মুরগীর মাংসের ছিল না। তবে কিসের মাংস ছিল শুনলে আপনার চোখ কপালে না, মাথায় উঠে যাবে!

২০১২ সালের এপ্রিলে পুলিশ তাদের আটক করে। অভিযোগ, দুই নারীকে হত্যা করে তাদের মাংস দিয়ে পেস্ট্রি বানানো। হ্যাঁ, টুনা ও মুরগী বলে বিক্রি করা পেস্ট্রিগুলোতে আসলে ওই দুই নারীর মাংসই ছিল।

তাদের সঙ্গে আটক করা হয় গৃহ পরিচারিকা ব্রুনা ক্রিস্টিনা অলিভেইরা দ্য সিলভাকেও। গৃহ মালিকদের এ অপকর্মে সাথ দেওয়াই ছিল তার অপরাধ।
সেবছরের মে মাসে তারা অবশ্য পুলিশের কাছে তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, ওই দুই নারীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়িতে এনে হত্যা করেন তারা। এরপর মাংস কেটে পেস্ট্রি বানানো হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে মরদেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে।     

স্বীকারোক্তিকে তারা জানান, জনি ডেপ অভিনীত ‘সুইনি টোড’ ছবি দেখেই তাদের মাথায় এ ধরনের অসুস্থ চিন্তা আসে।

ছবিতে তিন শিশুকে হত্যা করে তাদের মাংস দিয়ে পেস্ট্রি বানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।