ঢাকা: গহীন বনে লতা-পাতা ধরে লাফিয়ে ঝাড়-জঙ্গল পার হয়ে বিপদাপন্ন পশু-পাখিকে উদ্ধার! চেঁচামেচি আর কিঁচির-মিচির করে পশু-পাখির সঙ্গে কথা বলে আবার তাদের সঙ্গে বসবাস?
এ কেবল ‘বনের রাজা টারজানে’র ক্ষেত্রেই সম্ভব! কিন্তু তাতো কাল্পনিক কিংবা প্রাচীন যুগের! তাই বলে কী এযুগেও?
হ্যাঁ, পাহাড়-সমুদ্র ঘেরা বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পথশিশুরা এভাবেই ঝুলন্ত গাছের ডালে চড়ে দুলে দুলে দুরন্ত শৈশব পার করছে!
দিনভর নগর জীবনের নানা টানাপোড়েনের পিষ্ঠাঘাত গ্রাস না করলেও পেটের জন্য তাদের পথে-প্রান্তরে ছুটতে হয়! জোগাড় কতে হয় দু’মুঠো অন্ন!
আর সুযোগ ফেলেই নির্ভেজাল আনন্দের জন্য বন্ধুদের নিয়ে শিশুরা ছুটে যায় ছায়া সুনিভিড় সিআরবি’র (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং) খোলা জায়গায়।
বন্দরনগরীর টাইগার পাস মোড় থেকে সিআরবি হয়ে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের দিকে যেতে দুই পাহাড়ের মাঝের সড়কে অবিরাম ছুটে চলে যানবাহন।
সে দিকে কোনো ক্রুক্ষেপ নেই কারও। বিশাল দেহী বিভিন্ন গাছের ডালে চড়ে নিজেদের মতো শৈশবকে উপভোগ করছে পথশিশুরা।

নাগরিক জীবনে ছকে গাঁথা বিনোদন কেন্দ্র শিশুপার্ক কিংবা অ্যামিউজমেন্ট পার্কে যাওয়ার ভাগ্যে না হলেও বিনোদনের কোনো কমতি নেই তাদের।
খেলার সাথীদের নিয়ে লাফিয়ে, দৌড়ে এখান থেকেই নিখাদ আনন্দ উপভোগ করছে কিশোররা।

চলে দুরন্ত টারজানের মতো পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়িয়ে আর হৈ-হুল্লোড় করে শৈশবের সোনালী ক্ষণগুলোকে মুহূর্তের ফ্রেমে বাধার চেষ্টা।
শতবর্ষী কিংবা সমকালীন এসব গাছে চড়ে, পিচ্ছিল খাওয়া, ডিগবাজি দেওয়ার মতো অনেক মজার খেলায় মেতে তবেই না বাড়ি ফেরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর (সিআরবি) সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন গাছে এভাবেই ছুটে প্রত্যেহ ছুটে চলে এ যুগের টারজানরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪