বাঙালির পহেলা বৈশাখ মানেই যেমন পান্তা-ইলিশ, তেমন বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ খাবার খাওয়ার রীতি সব দেশেই রয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত একটি উৎসব।
![](files/December_2014/December_31/food_01_261094013.jpg)
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার মানুষেরা নববর্ষে শিম খেয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস, এটি খেলে তাদের বর্তমান চাকরি বহাল থাকবে অথবা তারা আরো ভালো কোনো চাকরির সুযোগ পাবে।
![](files/December_2014/December_31/food_02_669357940.jpg)
অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ায় নববর্ষ উদযাপনের বিশেষ খাদ্য শূকরের রোস্ট। এটিকে তারা ‘সিলভেস্টেরাবেন্ড’ বলে থাকে। অস্ট্রিয়ায় শূকরকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সেজন্যই নতুন বছর উন্নতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে- এই বিশ্বাসে নববর্ষে শূকরের রোস্ট খায় অস্ট্রিয়ার লোকজন।
![](files/December_2014/December_31/food_03_423124252.jpg)
ডেনমার্ক ও নরওয়ে
ডেনমার্ক ও নরওয়েতে নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘ক্রানসেকাগে’ নামক এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার রীতি আছে। এটি মূলত কেক। অনেকগুলো চ্যাপ্টা কেক একটার উপর একটা বসিয়ে এটি তৈরি করা হয়। কেক সাজাতে ক্রিম ও অন্যান্য জিনিস ছাড়াও ছোট ছোট পতাকাও ব্যবহার করা হয়।
![](files/December_2014/December_31/food_04_939986461.jpg)
জার্মানি
জার্মানরাও নববর্ষে মিষ্টি জাতীয় খাবার খায়। তারা ডোনাটের ভেতরে জ্যাম মেখে নববর্ষে খেয়ে থাকে। কখনো আবার জ্যামের বদলে সর্ষেদানাও থাকে, তবে সেটা খারাপ ভাগ্যের প্রতীক।
![](files/December_2014/December_31/food_05_880099509.jpg)
ইতালি
ইতালিতে নববর্ষে বিশেষ ধরনের সসেজ এবং মসুর ডাল খাওয়া হয়। এটিকে তারা ‘কোটেচিনো ই লেনটিচ্চি’ বলে।
![](files/December_2014/December_31/food_06_649900368.jpg)
জাপান
জাপানে বছরের শেষ দিনটিতে ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছোঁয়ার আগেই এক বাটি নুডলস দিয়ে নববর্ষের ভোজ শুরু করা হয়। এই নুডলসকে জাপানিজরা ‘তোশিকোশি সোবা’ বলে। একে বছর পার করার নুডলসও বলা হয়। এছাড়া কুরোমামে (কালো মিষ্টি শিম), চিংড়ি, রাইস কেক ইত্যাদি নববর্ষে জাপানিজদের কাছে পছন্দের খাবার।
![](files/December_2014/December_31/food_07_878606864.jpg)
মেক্সিকো
মেক্সিকোতে নববর্ষের আগের রাতে মধ্যরাতে আঙ্গুর খাওয়ার রীতি আছে, যা ইচ্ছে প্রকাশের প্রতীক। এছাড়া এক ধরনের মিষ্টি পাউরুটি তৈরি করা হয়, যার ভেতরে একটি মুদ্রা পুরে দেওয়া থাকে। নববর্ষে মেক্সিকানরা এই পাউরুটি খেয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস, যার পাউরুটির টুকরোর ভেতরে মুদ্রাটি থাকবে, নতুন বছর তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
![](files/December_2014/December_31/food_08_554267835.jpg)
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসে মিষ্টি দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। এই রীতিকে সে দেশের লোকজন ‘ওউড এন নিউ’ বা ‘পুরনো ও নতুন’ নামে অভিহিত করে। নববর্ষে ‘ওলিওবোলেন’ নামক এক ধরনের মিষ্টি খাবার তৈরি করা হয়। এটি ডোনাটের মতো ফ্রাই করা প্যাস্ট্রি, যার ভেতরে কিসমিস, আপেল ইত্যাদি ভরা থাকে। উপরে চিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে খাবারটি পরিবেশন করা হয়।
![](files/December_2014/December_31/food_09_673948979.jpg)
সুইডেন
সুইডেনে নববর্ষে রাইস পুডিং তৈরি করা হয়। এর ভেতরে একটি কাঠবাদাম লুকানো থাকে। সুইডিশরা বিশ্বাস করে, খাওয়ার সময় যে কাঠবাদামটি পাবে, সে নতুন বছরে সৌভাগ্যের মুখ দেখবে।
![](files/December_2014/December_31/food_10_309868060.jpg)
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে শ্যাম্পেইন পান করার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।
![](files/December_2014/December_31/food_11_836024509.jpg)
ওয়েলস
ওয়েলসে নববর্ষের সকালে আপেল ও অন্যান্য ফলমূল শিকে গেঁথে শিশুদের খেতে দেওয়া হয়। এছাড়া পাউরুটি এবং পনিরও খাওয়া হয়।
![](files/December_2014/December_31/food_12_474586191.jpg)
পোল্যান্ড
মধ্যরাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নববর্ষ উদযাপন শুরুর অংশ হিসেবে লবণাক্ত হেরিং মাছ খেয়ে থাকে পোলিশরা। তারা বিশ্বাস করে এটি তাদের জন্য নতুন বছরে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫