ঢাকা: পাবলো লেহম্যন। একজন বইপ্রেমিক।
শুধু তাই নয়, মাঝে মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত আরামের জন্য জার্মানির এক নাগরিক বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিশোনারি অক্সফোর্ডের ওরিজিনাল ভার্সন দিয়ে গড়ে তোলেন আরামদায়ক এক চেয়ার। এই চেয়ারটি তৈরিতে ডিশোনারির পাশাপাশি ছোট-বড় প্রায় ৮০টি বই ব্যবহার করেন তিনি।
এ তো গেল বই দিয়ে তৈরি অ্যাপার্টমেন্ট আর চেয়ারের কথা। বই দিয়ে যখন এতকিছু, তখন থেমে ছিলেন না লন্ডনের ফ্যাশন ডিজাইনার জেনিফার পিচচার্ড কচম্যান। প্রায় ২ হাজার ৫শ’টি বইয়ের পাতা দিয়ে তৈরি করেন এক অপূর্ব ব্রাইডাল পোশাক। বইপ্রেমী বলে বই ভালোবেসে তিনি এ ডিজাইনটি তৈরি করেন। পোশাকটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, পোশাকে ব্যবহৃত প্রত্যেকটা বইয়ের পাতাই কোনো না কোনো বিখ্যাত লেখকদের রোমান্টিক কবিতা রয়েছে। পোশাকটি এমনভাবে উন্নতমানের আঠা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা কখনো ছুটে পড়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
শুধু পোশাক তৈরি করে ক্ষান্ত হন নি বইপ্রেমীরা। নিজের পছন্দের গয়নাও তৈরি করেছেন বইয়ের পাতা দিয়ে। খুব সুচারু ও দক্ষতার সঙ্গে তৈরি হয়েছে গয়নাগুলো। কানাডিয়ান নাগরিক জাসমিট নামে ২৮ বছর বয়সী এক তরুণী গয়নাগুলো তৈরি করেন।
বই দিয়ে তারা এসব অদ্ভুত জিনিস তৈরি করে অনেকটা তাক লাগিয়ে দিলেন বিশ্ববাসীকে। কিন্তু বই দিয়ে গাড়ির কাঠামো তৈরি করে আরো তাক লাগিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সাইমন ডন। তিনি গাড়ির কাঠামোটি বই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করলেন, মনে হয় যেন বই দিয়েই সম্পূর্ণ গাড়িটি তৈরি করা। গাড়ির কাঠামোতে প্রায় ১০ হাজার বই রাখা আছে। যা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
এক সময় এই শুধু পড়া আর জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল বই। কিন্তু এখন শিল্পে পাল্টেছে বই ব্যবহারের ধরন। তবে সবকিছুর পেছনে বই পড়ুয়া হতে হবে আপনাকে। ভালোবাসতে হবে বই। তবেই আপনার মাথায়ও চেপে বসতে পারে বই নিয়ে অন্য কোনো চিন্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫