ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

চাকরিকে পছন্দসই করার ৬ টিপস

আতাউর রহমান রাইহান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
চাকরিকে পছন্দসই করার ৬ টিপস

ঢাকা: পছন্দসই চাকরি সবাই নাও পেতে পারেন। চাকরিটা মনমতো নাও হতে পারে।

যুতসই চাকরি পেলাম কিনা- এই ভেবে কর্মস্থলে অনেকে মনোযোগ দিতে পারেন না। নিজের চাকরি জীবন নিয়ে একটা অসন্তুষ্টি রয়ে যায়। তৈরি হয়  হতাশা। সে ক্ষেত্রে আপনি কীভাবে ভালোবাসবেন কর্মস্থলকে?


একটা অভ্যাস গড়ে তুলুন

অন্তত এমন একটা অভ্যাস গড়ে তুলন, যেটা অফিসের প্রতি আপনার ঝোঁক বাড়াবে। অফিসে যেতে তাড়া তৈরি করবে। এমনকি অভ্যাসটি পালনে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু আপনিও সেটিকে ভালোবাসেন। যেমন অফিসে এসে সহকর্মী বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, দুপুরের খাওয়ার সময় একসঙ্গে বের হওয়া, কাজের ফাঁকে একসঙ্গে কফি বা চা খাওয়া।


বসের সঙ্গে সুসম্পর্ক

কাজে তৃপ্তি আসার মূল চাবিকাঠির একটি হলো অফিসে বসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। এজন্য আপনার কাছ থেকে অফিস কি প্রত্যাশা করছে, প্রথমে সেটি নিশ্চিত হোন। আপনিও নিজের কাজের ব্যাপারে বসের মতামত নেন। বড় দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন। কোন কাজ বাদ পড়লো কিনা, সেটাও জেনে নেবেন। এতে কাজের প্রতি আপনার মোহ তৈরি হয়ে যাবে, অনুপ্রেরণারও যোগান পাবেন।


সহকর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা

সারাটি দিনই আপনি ব্যয় করছেন সহকর্মীদের সঙ্গে। অথচ তাদের সঙ্গে আলাপ হবে না, তা হয় না। সহকর্মীদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আপনাকে একটা কাজের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বিরতি পেলে আলাপ জমিয়ে নিতে পারেন। সুযোগ পেলে খুনসুঁটি করবেন। এতে আপনি সহজেই কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন। কাজ করে আনন্দ পাবেন।


নেতিবাচক ধারণাকে ‘না’

অযথা ঘ্যানঘ্যান করলে সহকর্মীরা বিরক্ত হবেন। তারা আপনার সঙ্গে কথা বলতে ভাববেন। দূরত্ব তৈরি হবে। কর্মস্থলে আপনার ব্যাপারেও তৈরি হবে নেতিবাচক ধারণা। সে ক্ষেত্রে হাসি মুখে থাকুন। পাশের জনকে সহায়তা করুন। তবে যদি কোনো সহকর্মী আপনাকে বিরক্ত করতে চায়, তার থেকে দূরে থাকুন। উচ্ছ্বল ও নিরহংকার সহকর্মীদের সাথে মিশুন। এতে কাজের পরিবেশ ভালো থাকবে, সময় কীভাবে কেটে গেছে তা টেরও পাবেন না।


গড়িমসি করবেন না

অফিসে এমনকিছু কাজ থাকতে পারে, যা আপনার পছন্দনীয় না। এসব কাজের কথা চিন্তা করলেই আপনি অস্থিরতা বোধ করেন। যেগুলোতে আপনার হাত দিতে মন চায় না। অথচ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, সেগুলো করতেই হবে। যদি এটি খুব বড় কাজ হয়, যতদ্রুত সম্ভব করে ফেলুন। বিরক্তিকর কাজগুলো নিয়ে চিন্তা করার আগেই সেগুলো শেষ করুন। গড়িমসি করলে পেশাগতভাবে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। কর্মস্থলে কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হবে।


চঞ্চলতা বাড়ান

হেমন্ত মুখপাধ্যায়ের গানের মতো, ‘কি চঞ্চলতা, জাগে আমার মনে, ভালো লাগে কত ভালো লাগে’। চঞ্চল প্রাণের হলে সবাই ভালোবাসে। কোনো কিছু ভালো লাগার সঙ্গে মানুষের চঞ্চলতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই নিজের মন মেজাজে স্ফূর্তি আনতে অফিসটা ঘুরে দেখুন। সহকর্মীদের হালনাগাদ খবর নিন।

কর্মশক্তি ও উদ্যোগ সবসময়ই ছোঁয়াচে, সংক্রামক। আপনি যখন অনেক কাজ করে ফেলবেন, সহকর্মীরাও দেখবেন উদ্যমী হয়ে উঠবে। কর্মশক্তিতে প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানের জন্যে অবশ্যই ভালো। নিজেরও কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।