ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

নিজের অস্ত্রে নিজেই ঘায়েল!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৫
নিজের অস্ত্রে নিজেই ঘায়েল!

নিজেদের উন্নত প্রযুক্তি আর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আমেরিকানদের বড়াইয়ের শেষ নেই। কিন্তু সেই উন্নত প্রযুক্তিও এখন হয়ে উঠেছে আমেরিকানদের গলার কাঁটা।

সর্বাধুনিক জ্যামার প্রযুক্তি দিয়ে এতোদিন ধরে আমেরিকানরা অন্যসব প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রের স্যাটেলাইট জ্যামিং বা নিষ্ক্রিয় করে এসেছে। এবার নিজের অস্ত্রেই ঘায়েল তারা। অর্থাৎ  আমেরিকান ইলেকট্রনিক জ্যামারগুলো এখন নিজেদের স্যাটেলাইটগুলোকেই নিষ্ক্রিয় আর অকেজো করে দিচ্ছে। এমন ঘটনা একটা দুটো নয়, ২০১৫ সালেই এমন ঘটনা ঘটেছে ২৫০ বারের বেশি(সর্বমোট ২৬১ বার!!)।

হাই র‌্যাংকিং একজন আমেরিকান জেনারেল নিজেই কবুল করেছেন এই সত্য। তার ভাষায়, সাম্প্রতিক সময়ে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির লড়াইয়ে আমেরিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ এখন আমেরিকা নিজেই --‘..the most dangerous adversary of the United States in the realm of electronic warfare these days just may be… the United States itself.’

অসহায়ভাবে তিনি এ-ও বলেছেন, রাশিয়া ও চীন কতোবার যে আমেরিকান স্যাটেলাইটগুলো জ্যাম করেছে সে ধারণা তার নেই-- “I really don’t know. My guess is zero,”

যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স স্পেস কমান্ডের প্রধান জেনারেল জন হাইটেন সম্প্রতি অ্যাসেসিয়েশন অব ওল্ড ক্রোজ ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার কনফারেন্সে কবুল করেছেন এই সত্য।

জেনারেল হাইটেন জানান, নিজেদের জ্যামারগুলোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটগুলোর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার ঘটনা প্রতিমাসে ঘটছে ২৩ বার। আর ২০১৫ সালে ২৬১ বার এমন ঘটনা ঘটার কারণে পৃথিবীর সাথে মহাকাশে স্থাপিত আমেরিকান স্যাটেলাইটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। (লিংকটা খুলুন:
http://sputniknews.com/military/20151203/1031152378/america-jammed-own-satellites.html)
 
এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন এই জেনারেলের বড় দুশ্চিন্তা মার্কিন বাহিনীর প্রধান দুই সামরিক প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে। এরা নিশ্চয় মার্কিনিদের এই ব্যর্থতার কথা জেনে গেছে। বিশ্বের নানা স্থানে মার্কিন বাহিনীর গতিবিধিই যেখানে ফলো করা যাচ্ছে না সেখানে রাশিয়া ও চীনের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির কাজটা তাহলে কী করে করা যাবে! এই প্রশ্নটা এখন ভাবাচ্ছে তাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।