ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বায়োইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্ন করে আত্মরক্ষা করে ক্যাটলফিশ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
বায়োইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্ন করে আত্মরক্ষা করে ক্যাটলফিশ

ঢাকা: পৃথিবীর বহুরূপী প্রাণীর মধ্যে ক্যাটলফিশ একটি। শিকারিদের নজর থেকে বাঁচতে তার‍া পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে নিজেদের রং বদল করে।

কখনও কখনও অন্য প্রাণীকেও অনুকরণ করতে পারে ক্যাটলফিশ।

রং পরিবর্তন ছাড়াও তারা নিজেদের বহিরাবরণে বৈদ্যুতিক আবহ তৈরি করে আত্মরক্ষা করে।

সমুদ্রের বড় বড় শিকারি প্রাণী, যেমন হাঙরের ঠোঁট অত্যন্ত সংবেদনশীল।

তারা নিজেদের ঠোঁটের মাধ্যমে মিনিটের মধ্যে প্রাণীর শরীরের বৈদ্যুতিক আবহ টের পায়। যেমন- মাছের ফুলকার সাহায্যে উৎপন্ন বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ নির্ণয় করতে পারে হাঙর।

এ‌ই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতাকে ইলেক্ট্রোরিসিপশন বলে। এই সংবেদনশীলতা থাকায় তারা শিকারকে দেখতে না পেলেও শনাক্ত করতে পারে।   
তবে সাধারণ ক্যাটলফিশ হাঙরের মতো সংবেদনশীল কোনো শিকারির সামনে পড়লেও নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তারা শ্বাস বন্ধ করে শরীরের তরল পদার্থ নির্গমণকারী স্থান পা দিয়ে ঢেকে ফেলে।

গবেষকরা জানান, ক্যাটলফিশের মিহি বিদ্যুতের ৮৯ শতাংশ আসে তাদের শরীরের শিফন টিউব ও ক্যাটলফিশের মাথা থেকে।
গবেষকরা জানান, যখন ক্যাটলফিশের গায়ের রং আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায় তখন তাদের শনাক্ত করা কঠিন।

জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির মেরিন বায়োলজিস্ট ডা. ক্রিস্টিন বেডোর বলেন, বায়ু চলাচল হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাটলফিশের বৈদ্যুতিক আবহের মাত্রা হ্রাস পায়।

বিগত গবেষণায় বেডোর দেখেছেন, সাধারণ ক্যাটলফিশেরা ১০ থেকে ৩০ মাইক্রোভোল্টের বায়োইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্ন করে। যা একটি ট্রিপল-এ‌ ব্যাটারির চেয়ে ৭৫ হাজার বার কম পরিমাণ বিদ্যুতের সমান।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।