ঢাকা: আর্কটিক মহাসাগর অঞ্চলে শুধুই বরফ। শীতে সেখানকার শ্বেত-তুষারাবৃত তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলে বসবাসরত প্রাণীদের কী খবর? হিম ঠাণ্ডায় তারা তো অার শীতের পোশাক পরে না!
তবে শীতল আর দীর্ঘস্থায়ী শীতকালে জীবনধারণ করার জন্য তাদের শরীরই যথেষ্ট।
তুলনামূলক পুরু ও ছোট কান। সারা শরীরে আবৃত সাদা লোম আর্কটিক খরগোশকে প্রখর ও হিমায়িত তুন্দ্রা অঞ্চলে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
আর্কটিক শিয়ালের গাত্রাবরণ ঘন-লোমশ। সাদা লোম তীব্র শীতে তাদের উষ্ণতা ও ছদ্মবেশ দুটোর কাজই করে।
আর্কটিক বরফে শুয়ে বিশ্রামরত শিশু হার্প সিল। সিলের মায়েরা কেবলমাত্র শরীরের গন্ধ নিয়েই শত শত সিলশাবক থেকে নিজ সন্তানকে চিনে নেয়।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সবখানেই কটনটেইল র্যাবিট রয়েছে। মরুভূমির এ প্রজাতির খরগোশ তাদের তুলার মতো ফোলানো লেজের জন্য পরিচিত।
খরগোশের নামই স্নো-সু হেয়ার। বড় বড় পায়ের সাদা খরগোশটির লোম গ্রীষ্মে বাদামি রং ধারণ করে। পুরো রং পাল্টাতে সময় লাগে ১০ সপ্তাহের মতো।
ছোট-বড় ঘন পশম মাস্ক-ষাঁড়দের আর্কটিক তুন্দ্রা অঞ্চলের তীক্ষ্ণ আবহাওয়াতে উষ্ণ রাখে।
অবশিষ্ট তিন প্রজাতির বাঘের মধ্যে সাইবেরিয়ান বাঘ সবচেয়ে বড়। এদের ওজন ছয়শো ৬০ পাউন্ড বা প্রায় তিনশো কেজি। যদিও বনাঞ্চলে এ প্রজাতির বাঘের সংখ্যা মাত্র চারশো কী পাঁচশো। তবে এ জনসংখ্যা স্থিতিশীল বলেই গণ্য করা হচ্ছে।
বিগহর্ন শিপ বিভিন্ন পালে বিভক্ত হয়ে বসবাস করে। মা ভেড়া তার বাচ্চাদের নিয়ে বড় একটি দলে ও পুরুষ ভেড়া আলাদা ছোট একটি দলে থাকে।
গভীর বরফ সমুদ্রে ডাইভ দিতে কিং পেঙ্গুইনের রয়েছে বিশালাকার ফ্লিপার। বরফের ওপর তারা ফ্লিপারের সাহায্যে হেলে দুলে হেঁটে বেড়ায়।
এম্পেরর পেঙ্গুইন সবচেয়ে বড় প্রজাতির পেঙ্গুইন। এদের উচ্চতা প্রায় চার ফুট বা ১.২ মিটার।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসএমএন/এএ