ঢাকা: ইয়েতি আছে, ইয়েতি নেই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ইয়েতি নিয়ে মানুষের ধারণা ওই জল্পনা-কল্পনা অব্দি।
স্টিভ বেরি নামের এক ভদ্রলোক ছবির এই পায়ের ছাপকে ইয়েতির পায়ের ছাপ বলে দাবি করছেন। তার দাবি, ভুটানের দূরবর্তী হিমালয় অঞ্চলের গভীরে ওই পৌরাণিক প্রাণীটিই ফেলে গেছে পায়ের ছাপ।
এ ছাপগুলো মানুষের পায়ের ছাপের চেয়ে অনেক বড়। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই অঞ্চলটি মানুষের মাড়ানোর কথা নয়। বেরি জানান, এটি কোনো পাহাড়ি চিতা বা চারপায়ী প্রাণীর হতে পারে না।
তার বিশ্বাস, পায়ের ছাপগুলো যেভোবে তুষারাবৃত খাঁড়া ঢাল দিয়ে নেমে গেছে তা দেখে মনে হয় এই পায়ের ছাপ গরিলা প্রজাতির কোনো প্রাণীর।
ছাপগুলো পাওয়া গেছে বিশ্বের উঁচু পর্বত গাংখার পুয়েনসামে। যে পর্বতে তখনও অব্দি কেউ ওঠেনি। এ ঘটনা ২০১৪ সালের অক্টোবরে। সেসময় বেরি ও তার পথ প্রদর্শক ওখানে যান।
গ্লুস্টারশায়ারবাসী বেরি (৬৬) জানান, স্থানীয়রা জানায় আমরাই প্রথম মানুষ যারা এ পথ অতিক্রম করেছি।
পায়ের ছাপগুলো প্রায় আঠারো হাজার ফুট ওপর থেকে খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। জানান তিনি।
অত্র এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে বেরি এ পায়ের ছাপ সম্পর্কে জানালে এক পশুপালক জানান, তিনি নিজেও ইয়েতি দেখেছেন প্রায় এগারো বছর আগে।
তিনি জানান, ইয়েতিটি তার থেকে তিনশো ফুট দূরত্বে ছিলো। তার শরীর ছিলো লম্বা লম্বা বাদামি লোমে ঢাকা ও লম্বায় ছিলো মানুষের সমান।
এদিকে স্টোর ফরটিন জিওলজির পরিচালক জন ডাউনস জানান, এই ঢালটি এতই খাঁড়া যে শুধু পাহাড়ি ছাগল ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী তা অতিক্রম করতে পারবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিশ্চিত এটি কোনো দু’পায়ে ভর করা বড় কোনো প্রাণী নয়।
যাই হোক, এবারও ইয়েতির অস্তিত্ব রয়েছে কিনা সে বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি।
পশ্চিমা দেশে ইয়েতির ধারণাটি প্রথম আসে ১৯২১ সালে। ইংল্যান্ডের রয়েল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটির একটি অভিযানে বন্য তুষার-মানবের পায়ের ছাপ পাওয়া যায় বলে কথিত।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসএমএন/এএ