ঢাকা: ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরও শুধু দেখতে বিদঘুঁটে হওয়ায় কিছু প্রাণী বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়ে যাচ্ছে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, কুৎসিত প্রাণীরা কম মনোযোগ আকর্ষণ করে।
ফলে ব্লবফিশ, ডুগং, ফ্যাংটুথ ফিশের মতো সামুদ্রিক প্রাণীরা হুমকির মুখে রয়েছে ও বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছে। ২০১৩ সালে ব্লবফিশকে বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণী হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ফিজিওলজি, অ্যানাটমি ও ইকোলজিতে ব্লবফিশের মতো কুৎসিত প্রাণীরা চোখ এড়িয়ে যায় কেবল তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের কারণে- এ গবেষণায় সেটা উল্লেখ করা হয়।
নন-কারিশম্যাটিক প্রজাতি যেমন ফ্রুট ব্যাট ও গেছো ইঁদুরের ওপর বৈজ্ঞানিক ও ব্যবস্থাপনা গবেষণা করা জরুরি বলে মনে করেন গবেষকরা।
কুৎসিত প্রাণীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার আওতায় আনার জন্য কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ বায়োলজিস্ট ট্রিশ ফ্লেমিং ও কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ বায়োলজিস্ট বিল ব্যাটম্যান।
তারা বিগত গবেষণা প্রকাশনাগুলোতে চোখ বুলিয়ে দেখেছেন, ৩৩১টি অস্ট্রেলিয়ান স্তন্যপায়ী প্রজাতিকে ভালো, খারাপ ও কুৎসিত এ তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।
খতিয়ে দেখা গেছে, ভালো সংজ্ঞায়িত দলের প্রাণীদের এনাটমি ও ফিজিওলজির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে খারাপ দলভুক্ত প্রাণীদের বাস্তুসংস্থান ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কৌশলের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুৎসিত দলের প্রাণীদের পুরোপুরিই অবজ্ঞা করা হয়েছে এসব গবেষণায়।
আমারা এসব প্রাণীদের বায়োলজি সম্পর্কে খুব পরিমাণে জানি। জানান ম্যামল রিভিউতে প্রকাশিত এ আর্টিকেলের মূল লেখক ডক্টর. প্যাট্রিসিয়া ফ্লেমিং।
তিনি আরও বলেন, অনেকক্ষেত্রে আমরা তাদের অস্তিত্ব জেনেটিক্স বা ট্যাকসোনমিক স্টাডিজের মাধ্যমে ক্যাটালগ করে রেখেছি। কিন্তু তাদের খ্যাদ্যাভাস, বাসস্থান বা তাদের জীবন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কী কী করা উচিত এসব বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রয়ে গেছি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
এসএমএন/এএ