ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।
১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবেন।
প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।
৯ নম্বর সেক্টর
দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা নিয়ে এ সেক্টর গঠিত। ভারতের বসিরহাটের নিকটবর্তী টাকিতে ছিলো ৯ নম্বর সেক্টরের হেড কোয়ার্টার।
প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কার্যরত ছিলেন। পরবর্তী ধাপে সেক্টর কমান্ডার হন মেজর জয়নুল আবেদীন ১৯৭১ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
তিনটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিলো ৯ নম্বর সেক্টর।
• টাকি
• হেঙ্গলগঞ্জ
• শমসেরনগর
প্রায় বিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এ সেক্টর থেকে যুদ্ধ করেন। ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে বরিশালে অভিযান চালায় বিশাল গেরিলা বাহিনী। পটুয়াখালীর একটি স্থায়ী ঘাঁটি থেকে ক্যাপ্টেন মেহদী আলী ইমাম আক্রমণ পরিচালনা করেন। অন্যদিকে সুন্দরবন এলাকায় লেফটেন্যান্ট জিয়া অপর একটি বাহিনী পরিচালনা করেন। সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় ছিলেন ক্যাপ্টেন হুদা ও তার নিয়মিত বাহিনী।
এই সেক্টরের মুক্তিবাহিনী দেবহাটা ও শ্যামনগর থানা আক্রমণ ও দখল করে। নৌ-প্রহরার মাধ্যমে বরিশাল-পটুয়াখালী নদী এলাকায় প্রাধান্য বিস্তার করে তারা। ডিসেম্বর মাসে চূড়ান্ত আক্রমণের আগে এ সেক্টরকে ৮ নম্বর সেক্টরের সঙ্গে একীভূত করা হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন মেজর মঞ্জুর।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
এসএমএন/এএ
** মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর
** মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর