ঢাকা: সৃষ্টিশীল মানুষকে দাবিয়ে রাখা যায় না। জীবনের শত বাধা-বিপত্তি পদদলিত করে তার সৃষ্টিশীলতার জানান তিনি দেবেনই।
জীবনের প্রান্ত সীমায় এসে ৯৫ বছর বয়সে তিনি রং তুলিতে আঁকাজোকা শুরু করেন। বর্তমানে তার বয়স ১০৫ বছর। মাত্র ১০ বছরের চিত্রকর্ম নিয়ে তিনি চিত্র প্রদর্শনীও করেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অস্ট্রেলীয় দূতাবাসে তার চিত্রকর্মের প্রথম আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী শেষ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক চিত্রশালা ডায়ান মোসেনসনে তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয়। সেই প্রদর্শনী স্থলে এসে বিমুগ্ধ হয়ে লুংকুনান তার চিত্রকর্ম দেখেন।
এ প্রদর্শনীতে এসে লুংকুনান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি সত্যিই, সত্যিই খুব খুশি এবং সত্যিই-সত্যিই আমি গর্বিত’।
১৯১০ সালে লুংকুনান অস্টেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের এক প্রত্যন্ত গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনকে তিনি নানাভাবে উপলব্ধি করেছেন। শতবর্ষী এ চিত্রশিল্পী তার চিত্রকর্মে তার দেশ ও আদিবাসী জীবনের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবন বিচিত্র চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
বর্তমানে তিনি দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিম্বার্লি এলাকায় সাদামাটা জীবন-যাপন করেন। বয়সের ভারে মাঝে-মাঝে অসুস্থ বা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভূত হলে তিনি ওষুধ সেবন করেন না।
প্রকৃতির বৃক্ষ-লতাপাতা তিনি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেন। এতো দীর্ঘ সময় সুস্থভাবে জীবন-যাপনের জন্য তিনি প্রকৃতির প্রাকৃতিক উপদানগুলোর প্রশংসা করেন।
ইচ্ছে শক্তিই যে মানুষকে পথ দেখায়, অন্তরের সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ করে। সেটাই ফের প্রমাণ করলেন ১০৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নারী চিত্রশিল্পী লুংকুনান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
টিআই