ঢাকা: চুমু দেওয়ার সময় চোখ বুজে যায়। একবার পরীক্ষা করে দেখুন, সত্যিই যায়।
প্রিয়ার ঠোঁটে, সন্তানের গালে, কিন্তু ফ্লাইং কিসের জন্য নিজের হাতের তালুতে চুমু দিতে গিয়েও চোখ বুজিয়ে রাখা যেনো অভ্যাস।
এর একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, আমরা চোখ বুজিয়ে রাখি কারণ আমাদের মস্তিষ্ক একই সঙ্গে দুটি কাজ করতে পারে না। মানব শরীরের নানা আচরণের মধ্যে অন্যতম রহস্যের এটি একটি যা এবার উন্মোচিত হলো।
লন্ডন ইউনিভার্সিটির রয়্যাল হোলোওয়ের মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, চুমুর সময় চোখ যদি কিছু দেখতে বা খুঁজতে থাকে তখন বোধশক্তি ভিন্নদিকে প্রবাহিত হয় ফলে চুমুর অনুভূতিটা আর থাকে না।
স্পর্শনেন্দ্রিয়র সচেতনতা সম সময়ের দৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। আর
স্পর্শানুভূতিও তার ওপরই নির্ভর করে বাড়ে কমে, এ কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক শিক্ষক পলি ডালটন ও স্যান্ড্রা মারফি।
জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি: হিউম্যান পারসেপশন অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিষয়ক একটি প্রকাশনায় তারা ওই কথা বলেছেন।
মনোবিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে তাদের গবেষণার আওতায় আনা নারী পুরুষদের চুমু খাইয়ে এই পরীক্ষা চালাননি, বরং দৃষ্টির পরীক্ষা নিয়েছেন। হাত দিয়ে কোনও কিছু যখন স্পর্শ করছেন তখন চোখটা কি করে সেটা তারা পরীক্ষা করেছেন।
এতে দেখা গেছে চোখ খোলা থাকলে স্পর্শনেন্দ্রিয়কে ছাপিয়ে মনোজগতে চোখে দেখতে থাকা বিষয়টিই প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। মানে হচ্ছে কেউ যদি চোখ খোলা রেখে চুমু খায় তাহলে তার অনুভূতি পেতে চুমু খেতেই থাকবে। আর চোখ বুজে ঠোঁটের সামান্য স্পর্শানুভূতিই পূর্ণ তৃপ্তি দেবে।
ড. ডালটন বলেন, আমরা আমাদের দৃষ্টিপাতে বেশি নিমগ্ন থাকলে তা দারুণভাবে অন্য সকল অনুভূতিকেই দুর্বল করে দেয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে কেউ কেউ কেউ যখন গান করে, কিংবা নাচে তখনও তাদের চোখ বন্ধ থাকে। গান বা নাচে পূর্ণমনোনিবেশ করতেই চোখকে কোনও কিছুতে নিবদ্ধ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
সুতরাং চুমুর সময় আমরা আমাদের চোখ বন্ধ করে রাখি কারণ এর পূর্ণ স্পশানুভূতি আমরা পেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এমএমকে