ঢাকা: ফাল্গুনি পূর্ণিমা তিথি। বসন্ত বাতাসে রঙের ছড়াছড়ি।
দোলযাত্রা বা দোলপূর্ণিমা একটি বৈষ্ণব উৎসব। বসন্তের এ উৎসবটি বর্হিবঙ্গে হোলি নামে পরিচিত। ২৩ মার্চ (বুধবার) অশুভ শক্তির বিনাশ ও বসন্তবরণের উৎসব দোলযাত্রা।
পুরাণ বলে, ফাল্গুনি পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অাবির, গুলাল নিয়ে রাধা ও গোপীদের সঙ্গে বৃন্দাবনে রঙ খেলেছিলেন। সেই থেকে ফাল্গুনি পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার মূর্তিতে আবির মেখে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন করতে করতে শোভাযাত্রায় নামেন ভক্তরা। এরপর একে অপরের গালে আবির মেখে সাধুবাদ জানান।
দোলযাত্রার সঙ্গে আরও একটি উৎসব সম্পৃক্ত তা হচ্ছে, হোলিকাদহন। স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুনমাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে উল্লেখ রয়েছে, মহর্ষি কশ্যপ ও দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপু ব্রহ্মার আশীর্বাদে দেবতা ও মানব বিজয়ী হন। কিন্তু এরপর নিজেই দেবতাদের অবজ্ঞার চোখে দেখতে থাকেন।
তবে তার ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুভক্ত। কিন্তু ছেলে বাবার চাইতে বিষ্ণুকে বেশি প্রাধান্য দেয়, এ বিষয়টি মানতে পারেননি হিরণ্যকশিপু। তাই তিনি বোন হোলিকাকে আদেশ দেন যেনো প্রহ্লাদকে পুড়িয়ে মারা হয়।
হোলিকা হিরণ্যকশিপুর কথামতো প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করেন কিন্তু বিষ্ণুর কৃপায় আগুন প্রহ্লাদকে স্পর্শ করেনি বরং হোলিকা নিজেই পুড়ে যান আগুনে। সেই ধারবাহিকতায় দোলযাত্রার আগেরদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে হোলিকাদহন উৎসব পালন করা হয়।
দোলযাত্রা একটি সার্বজনীন উৎসব। এদিন সব ধর্মের সব শ্রেণির মানুষ বন্ধু, পরিবার, স্বজনের সঙ্গে রঙ খেলেন। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের পাশাপাশি এ উৎসবটি বর্হিবিশ্বেও জনপ্রিয় স্থান দখল করে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
এসএমএন/এসএস