দোহার থেকে ফিরে: রাজধানীর অদূরের উপজেলা দোহারের গৃহিণী মরিয়ম বেগম। স্বামী থাকেন সৌদি আরবের রিয়াদে।
ভোটের বিচারে ইউপি নির্বাচন ছোট হলেও পরিসর অনেক বেশি। তাই উৎসবটিও যেন বড়!
শুধু মরিয়ম বেগমই নন। এই চিত্র সমগ্র দোহারের নির্বাচনী এলাকায়। উপজেলার বেশির ভাগ পুরুষ কাজের সন্ধানে বিদেশ বিভূঁইয়ে। তাই নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় সব কেন্দ্রেই নারীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবাই নিজের ভোটটি দিয়েছেন পছন্দের প্রার্থীকে।
১০৪ বছর বয়স্ক মাজুবিবিও ভোটকেন্দ্রে এসেছেন তার নাতনিকে নিয়ে। হাসিমুখে বললেন, জ্ঞান আছে তাই ভোট দিতে আইছি। কয় দিন আর বাচুম? দিয়া যাই ভোট। হাজরি বিঘা কেন্দ্রে ক্যামেরাবন্দি হন মাজুবিবি।
পুরুষদের উপস্থিতি যে খুব একটা কম তা বললেও ভুল হবে। ছোট্ট সন্তান কোলে এই ভোটার বাবাকেও দেখা গেছে মালিকান্দা মেঘুলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
পোস্টার তোরণে সজ্জিত উপজেলার প্রায় সবগুলো সড়কেই ছিল উৎসবের আমেজ।
ভোট, তাই যান্ত্রিকযান বন্ধ। নারিশার মেঘুলায় উৎসবের রং লেগেছে রিকশার হুটে।
বিদেশ ফেরত হাবিবুর রহমান স্টোক করে পঙ্গু প্রায়। স্ত্রী সন্তানরা তাকেও নিয়ে এসেছেন এ উৎসবে শামিল করতে।
দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশ। তার পিছনে নীরবভাবে কাজ করে গেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দিনশেষে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণই হয়েছে ভোট। এমনটাই জানাচ্ছেন নারিশা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাসিরউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
এএ/