ঢাকা: গর্ভকালে কয়েকটি ফল খাওয়া নিয়ে চিরাচরিত কিছু মিথ প্রচলিত। এগুলোর কোনো কোনোটি সত্য ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
আনারস
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কিনা এ প্রশ্নের বেশিরভাগ উত্তরই ‘না’। কারণ এতে রয়েছে উচ্চমানের ব্রোমেলিন যা জরায়ুকে নমনীয় করে ফলে যথাসময়ের আগেই প্রসবযন্ত্রণা দেখা দিতে পারে বা মিসক্যারেজ হতে পারে। বিশেষত এসব সমস্যা এড়াতে গর্ভধারণের প্রথম তিনমাস আনারস খাওয়া যাবে না। এর পর খাওয়া আপনার জন্য কতটা নিরাপদ তা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন।
পেঁপে
গর্ভকালে কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি নিরাপদ নয়। কাঁচা বা অর্ধপাকা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স নামক এক উপাদান যা ঘনীভূত হয়ে জরায়ুর সংকোচন করে। এসমসয় পেঁপের খোসা বা বীজও খাওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি পাপাইন এনজাইমযুক্ত সাপলিমেন্টও এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
এ তো গেলো কাঁচা বা অর্ধপাকা পেঁপের কথা। কিন্তু গর্ভকালে পাকা পেঁপে খাওয়া নিরাপদ। পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অন্যান্য কার্যকরী উপাদান যা গর্ভকালীন সময়ে হার্টবার্ন ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাকা পেঁপেতে খুবই অল্প পরিমাণে পাপাইন থাকে। এন্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য ভিটামিন কনটেন্ট রয়েছে- তাই এসময় এটি খাওয়া স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ।
আঙুর
গর্ভকালে আঙুর খাওয়া যাবে কি যাবে না এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কোনো কোনো মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতে আঙুর খাওয়া যাবে না, অন্যদিকে অনেকে বলছেন তা খেতে বাধা নেই। আঙুর খেতে নিষেধ করা হয় কারণ পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধে আঙুর গাছে প্রচুর পেস্টিসাইড স্প্রে করা হয়। আরও একটি কারণ হচ্ছে আঙুরে থাকে প্রচুর রিসভেরাট্রল যা সন্তানসম্ভবা মায়ের শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তবে প্রেগনেন্সিতে আঙুর খেয়ে শরীরে ভিটামিন এ ও সি’র যোগান দেওয়া সম্ভব।
গাজর
প্রেগনেন্সিতে অতিরিক্ত গাজর খাওয়া মারাত্মক হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত বিটা ক্যারোটিন ত্বকের বিবর্ণতা ও ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। যদিও এটির কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই তবুও খাওয়ার আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই ভালো।
শুধু এসব ফল নয়, গর্ভকালে কোন কোন খাবার কতটা খাওয়া নিরাপদ তা শুরু থেকেই ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া আবশ্যক।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
এসএমএন/এএ