যমুনার চরাঞ্চল থেকে ফিরে: ভর চৈত্রের দুপুর। তখন যমুনার আকাশে রোদের প্রখর দৃষ্টি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
চারদিকে থৈথৈ করছে শান্ত যমুনা। পাড়ে দাঁড়ালেই আবার বাতাসের শীতল ছোঁয়া। এই গরমের ভর দুপুরে নদীতে লম্বা ঝাঁপ না দিলে কি চলে?
সঙ্গে খালি শরীরে বালুর সঙ্গে একটু লুটোপুটি খেললে, মন্দ কী? বকুলদের শৈশব তো এমনই হওয়া উচিত...
বিস্তৃত যমুনার ধারায় মাঝবয়সি চর উজানডাঙ্গা। গাইবান্ধার ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত এই চর। বকুল ও তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় এই চরে এসেই। হঠাৎ ক্যামেরা দেখে তারা একটু চোখ তুলে তাকালেও আবার খেলায় ব্যস্ত খেলাধুলায়।
একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মিডিয়া টিমের সদস্য হয়ে উজানডাঙ্গায় যাওয়া। বকুল, কবির আর ইয়াসিনদের সঙ্গে স্বল্প সময়ে সাক্ষাৎ এই চরে। শুধু নামটিই বলার সময়টুকু ছিল তাদের এই ব্যস্ত খেলার ক্ষণে।
এই বালুময় সময়টুকুতে তারা যে কতটা আনন্দের সঙ্গে সময় পার করেছে তা এই শব্দ, পিক্সেলের ঊর্ধ্বে। রীতিমতো বালুর ঝড় তৈরি করে ফেলেছে তারা। কোনো খেয়াল নেই বালু চোখে ঢুকলো, না মুখে গেলো। খেলার আনন্দটাই প্রধান।
‘বালুর ভুত’ নামক এই খেলা শেষ করে সঙ্গে সঙ্গেই এক দৌড়ে একেবারে নদীর বুকে। ডুব দিয়ে, সাঁতার কেটে তারা ক্ষান্ত হয় এই তপ্ত দুপুরে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
আইএ