ঢাকা: অনেকে হোমিওপ্যাথিতে পূর্ণ বিশ্বাস করেন। আবার আস্থা না রেখে অনেকেই একে বলেন হাতুড়ে চিকিৎসা- যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কোনো নেই।
ফ্যাকাল্টি অব হোমিওপ্যাথির ডাক্তার হেলেন বেমন্ট জানান, হোমিওপ্যাথির প্রমাণ এখনও অমীমাংসিত, তাই বলে এটি কার্যকরী নয়- এটি ভুল ধারণা। এটি প্লেসবোর চেয়ে বেশি কার্যকর বলে দাবি তার।
যুক্তরাজ্যের ফ্যাকাল্টি অব হোমিওপ্যাথি পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ ও রেজিস্ট্রি করে আসছে।
২০১০ সালে হাউজ অব কমন সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি কমিটি এক রিপোর্টে প্রকাশ করে- হোমিওপ্যাথি প্লেসবোর চেয়ে কোনোভাবেই উৎকৃষ্ট নয়। তবে রিপোর্টটি পরে বাজেয়াপ্ত হয়।
বর্তমানে বিশ্বে প্রায় দুইশো মিলিয়ন মানুষ এই চিকিৎসায় উপাকারিতা পাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান, উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন পদার্থ- পানি ও অ্যালকোহলের সংমিশ্রণে হোমিও ওষুধ তৈরি করা হয়। চর্মরোগ, বিষণ্নতা, কাশি, মেনোপজ, ক্লান্তি, জ্বর, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী ডোজ রয়েছে এ সেবায়।
দ্য ফ্যাকাল্টি অব হোমিওপ্যাথির প্রায় আটশোজন অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট বহুদিন ধরে হোমিওর চিকিৎসা করে আসছেন। যেসব রোগীরা প্রচলিত ওষুধ খেয়েও তাদের উপসর্গ সারাতে পারেননি সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি কাজ করেছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথি বাদে যেসব ওষুধ রয়েছে তার বৈজ্ঞানিক মূল্য থাকলেও হোমিওপ্যাথির মতো এর অনুশীলন নেই। প্রশ্ন এখানেই, যদি মানুষ হোমিও চিকিৎসা থেকে উপকার পায় তাহলে সমস্যা কোথায়?
এ সেবার অন্য একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে, হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধে এতো বেশি প্রচরণা হয়েছে যা অধিকাংশেরই বিশ্বাসে পরিণত করেছে। তবে এটি সত্য নয়।
গ্লাসগো ও লন্ডনে দাতব্য হাসপাতাল ও ইন্টিগ্রেটিভ কেয়ারে হোমিওপ্যাথি অফার করা হয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেরও (এনএইচএস) রিকমেন্ডেশনেও রয়েছে হোমিও ওষুধ।
তবে, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিওসের অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে। সরকার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকেরা রোগীদের সেবা অক্ষুণ্ন রেখেই এ খরচ কমানোর কথা ভাবছে।
এমন অবস্থায় হোমিওপ্যাথি খরচ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ অন্য ওষুধের চেয়ে এসব ওষুধের দাম তুলনামূলক কম।
বর্তমানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস হোমিওপ্যাথিতে বছরে খরচ করে চার মিলিয়ন পাউন্ড, যেখানে তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবায় মোট খরচ ১৩৭.৯ বিলিয়ন পাউন্ড।
রোগীরা যদি হোমিওপ্যাথিতে আস্থা রাখে তবে তা তাদের স্বাস্থ্য ও এনএসএইচ এর জন্য সুফলদায়ক হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এসএমএন/এএ