সারাবিশ্বে দিনের পর্নোঘণ্টা ১২ মিলিয়ন (এক কোটি ২০ লাখ)। পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন পর্নোহাবগুলোতে যে বিচরণ চলে তা যোগ করলে হিসাবটা এমনই দাঁড়ায়।
বিপদটা মস্তিষ্কের। তবে সে কথায় যাওয়ার আগে আরও কিছু কড়া কড়া পরিসংখ্যান তুলে ধরা যাক। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিমাসে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ পর্নোসাইটগুলোতে ঢুকছে। স্ট্রিমিং ভিডিওগুলোতে সহজ প্রবেশাধিকারই এই স্ফীতির প্রধান কারণ। প্লেবয় ম্যাগাজিনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৭৫ সালে যখন এই ম্যাগাজিনের যৌবনকাল তখন মাসিক এই পত্রিকাটি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হতো ৫৬ লাখ কপি। আর এখন এই দেশে প্রতিমাসে দশ কোটি ৭০ লাখ মানুষের বিচরণ ইন্টারনেটভিত্তিক পর্নোগ্রাফিতে।
বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রাপ্তবয়ষ্কদের এই বিনোদন ব্যবস্থা যতটা বিতর্কিত ঠিক ততটাই জনপ্রিয়। ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ৪৬ শতাংশ পুরুষ আর ১৬ শতাংশ নারীরই আজ পর্নোজগতে অবাধ ঢুকে পড়ছে যখন তখন আর ইচ্ছামাফিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সেতো প্রাপ্তবয়ষ্কদের কথা। কিন্তু এই জগতে পা ফেলছে শিশুরাও। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম পর্নো দেখার গড় বয়স ১১ থেকে ১৩ বছর। পৃথিবীর দেশে দেশে এই চিত্র কমবেশি একই রকম।
আর এই শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবক-প্রাপ্তবয়ষ্ক-মধ্যবয়ষ্ক থেকে বৃদ্ধ বয়সীরা দিনে ১ কোটি ২০ লাখ ঘণ্টা পর্নোগ্রাফিতে ব্যয় করছেন।
বিশ্বজুড়ে আজ ৯৭ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল বাণিজ্য এই পর্নোগ্রাফি। আর এর নির্মাতাদের চোখ পুরুষ ক্রেতাদের ওপরই নিবদ্ধ। কিন্তু আজকাল নারীদেরও পর্নে আসক্তি বাড়ছে। আর সে হার ক্রমবর্ধমান।
শিশুদের কথা আগেই বলেছি। ১০ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ৪০ শতাংশই পর্নের জগতে পা ফেলেছে, যাদের অনেকেই দৈবক্রমে। আর এদের মধ্যেও মেয়েশিশু নেহায়েত কম নয়। পর্নো যারা দেখে তাদের মধ্যে পুরুষদের ৯০ শতাংশ আর মেয়েদের মধ্যে প্রতি তিন জনের একজন তাদের কলেজ জীবনের আগেই পর্নোজীবনে প্রবেশ করেছে।
ছেলেরা এখানে বিনোদন খোঁজে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু মেয়েরা! তাদের অবশ্য প্রথম দাবি শিখতে চায়। নিজেদের যৌনজীবনে প্রবেশের আগে শিখে নেওয়া।
পর্নোগ্রাফিতে মেয়েদের চরিত্রায়ন স্রেফ বিনোদনের উপকরণের মতোই। ছেলেটিকে তৃপ্ত করাই যেনো এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। আর ছেলেটি তার পারফরম্যান্সের দৌড়ে কতটা এগিয়ে তারই প্রমাণ দিতে ব্যস্ত। ফলে মেয়েরা যখন পর্নো দেখে তখন মেয়েটিকে বিপদগ্রস্ত বলেই তাদের মনে হয়। যার একটা ভয়াবহ প্রভাব তার ওপর পড়ে। পপুলার পর্নে আচরণগত দিকটি নিয়ে একটি জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্যেই নারীর ওপর শারিরিক আক্রমণের ভাবটা প্রকট। অন্যদিকে নারীটি বেশ আনন্দেই তৃপ্তির অভিব্যক্তিতে ওইসব দৃশ্যে বর্তমান। কোনও কোনও দৃশ্যে দেখানো হয়, মেয়েটি এই কর্মে রাজি নয়, মৃদু চেষ্টায় প্রতিহতও করতে চাইছে কিন্তু পরক্ষণেই যেনো যারপরনাই খুশি, তৃপ্ত আর বিগলিত।
তারপরেও পর্নে মেয়েদের আসক্তি বাড়ছে। বিশেষ করে টিনেজার বা তারও আগেই কিছু না বুঝেই এই দিকে ঝুকে পড়ে মেয়েরা। জরিপে দেখা গেছে- অনেকেরই মত, তারা আসলে সেক্সটা কেমন তা জানতে চায় বলেই পর্নো দেখে।
পরের অংশ>> বছরে ৮৭.৮ বিলিয়ন পর্নো ভিডিও দেখা হয়