লেখা ও ফটো-মেহেদি হাসান পিয়াস: মেলামাইন, সিরামিক ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ভিড়ে বিলুপ্ত প্রায় পিতলের তৈজসপত্র। তবে এখনও কিছু খানদানি পরিবারে তামা, কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্রের ব্যবহার দেখা যায়।
সম্প্রতি রাজধানীর গেন্ডারিয়ার নামোপাড়া কদম রসুল মসজিদ এলাকায় গিয়ে চারটি কারখানায় পিতল, ইস্পাত ও লোহা দিয়ে তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় কামারদের। প্রচণ্ড তাপদাহে ও আগুনের লেলিহানে তাদের দেহের বর্ণও যেন হয়েছে পিতলের মতো।
দরজার খিল, পানি ও গ্যাসের লাইনের সংযোগ স্থাপক, পিতলের হাড়ি, পানির জগ, তাগাড়ি, পেয়ালা, পট, থালা-প্লেট, কুপি-বাতি, বগুনা, তামাকের ডিবি, হুক্কা, সুরমাদানি, লোডা-বদনা, ছেনি, গ্লাস, কলস, টিফিন কেরিয়ার, পূজার ব্যবহার্য ঘণ্টা, কাশি, করতাল, পানের বাটা, ইস্তাম্বুল, পিতলের তৈরি মূর্তি, তুলসিপত্র, দ্বীপ, পঞ্চপ্রদীপ, পুষ্পথালা, পিতলের বিল্লপত্র, ঘটি, আগরদানিসহ বিভিন্ন গৃহস্থলির তৈজসপত্র তৈরি করে এই শিল্পীরা।
পিতল ও লোহা আগুনে গলিয়ে নিপুণ হাতে বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরি করেন কামররা। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কাজে মগ্ন থাকেন তারা। বিনিময়ে প্রতিমাসে আয় ১০ হাজার টাকা।
মেলামাইন ও প্লাস্টিকের ভিড়ে কামারদের কাজের পরিধি বর্তমানে অনেক কমে গেছে।
এ শিল্পের কারিগর মোহামস্মদ শাহিদ বলেন, ‘পিতলের তৈজসপত্রের কাজ অনেক কমে গেছে। অর্ডার পাইলে বানাই, না পাইলে বইয়া থাকি। অাগে কারিগরদের বইয়া থাকার সময় আছিলো না। এহন কাজহ কম, তাই অনেক সময় বইয়া কাটাইতে হয়’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৬
টিআই/