ঢাকা: ‘ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পাওনা শোধ করতে হবে’- এ বাক্যটি যেনো শুধু শ্রমিক তথা মে দিবসের (০১ মে) জন্যই প্রযোজ্য!
শ্রমিক দিবস এলেই আমরা তাদের প্রতি সদয় হয়ে পড়ি। কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে শ্রমিকের পুরো শ্রম শুষে নিতে পারলেই যেনো শান্তি!
রাজধানীর গাবতলী ঘাট, এখানে কাজ করেন শত শত শ্রমিক।
এখানে যারা কাজ করে করেন তারা বেশিরভাগই জামালপুর থেকে এসেছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন কেউ কেউ।
এই ঘাটের শ্রমিকরা শুধু এ ধরনের কাজই করে থাকেন, অন্যকোনো কাজে তাদের তেমন আগ্রহ নেই। জানতে চাইলে তাদের বক্তব্য, এই কাজে অভ্যাস হয়ে গেছে।
যখন কোনো খরিদদার ট্রাক নিয়ে আসেন তখনই তাদের ব্যস্ততা, বাকিটা সময় বিশ্রাম বা গল্প করে সময় পার। এজন্যই এ কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা।
এখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক সাভারের আমিন বাজার বস্তিতে থাকেন। প্রতি আট ডালি কয়লা, বালু বা পাথর বইলে তারা পান ২০ টাকা।
নিজেদের মধ্যে খুব একটা বিরোধ নেই কাজ নিয়ে। সুশৃঙ্খলভাবে যে যার সামর্থ অনুযায়ী কাজ করেন।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে যাওয়া এ শ্রমিকদের ‘মে দিবস’ নিয়ে নেই কোনো মাথাব্যথা। তারা শুধু বোঝেন, কাজ করছেন বলে দু’বেলা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারছেন।
একদিক দিয়ে এটি ঠিকও। এসব তাদের বোঝার কথা নয়। কিন্তু তারা যেহেতু শ্রমিক, সেহেতু শ্রম আইনের অন্যতম প্রধান দাবিদার তারাও। তাই রাষ্ট্রসহ যেসব সংগঠন শ্রম-শ্রমিকের মূল্য, অধিকার নিয়ে কাজ করে- তাদের কাছে তাদের এই ‘না বোঝা’ যেনো প্রশ্ন আকারে হাজির হয়!
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৬
এসএনএস