এ এক অন্য রকম বৃষ্টিপাত। জলের নয়, চোখ ধাঁধানো আলোর বৃষ্টি।
আকাশের সর্বপ্রান্ত আচ্ছন্ন করা এই বৃষ্টি আসলে উল্কাবৃষ্টি। মেঘহীন রাতের আকাশে আমরা হঠাৎই দেখতে পাই পৃথিবীর পানে তূর্ণ গতিতে ঝাঁকে ঝাঁকে, দলে দলে ছুটে আসছে উল্কা। এই উল্কাপতন যখন সম্মিলিত আর বিপুল আড়ম্বরে হয় তখনই তার নাম হয় উল্কাবৃষ্টি/উল্কাঝড় বা "ইতা আ্যকুয়ারিদ্স"। দেখে মনে হয়, গোটা আকাশ যেন মেতেছে আলোর উৎসবে।
প্রতি বছর সাধারণত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই উল্কাঝড়ের/উল্কাবৃষ্টির দেখা মেলে পৃথিবীর আকাশে আকাশে। অবশ্য সর্বত্র সমানভাবে এটি দেখা যায় না। উত্তর গোলার্ধে প্রতি ঘন্টায় সচরাচর ২০টি আর দক্ষিণ গোলার্ধে প্রতি ঘন্টায় ৪০টি উল্কাপাত দেখা যায়। বিষুবরেখার কাছাকাছি সন্ধ্যার আকাশে আলোকের এই মহাঘনঘটার দেখা মেলে।
EarthSky নামের একটা ওয়েবসাইট জানাচ্ছে: ‘The May 6 new moon will guarantee deliciously dark skies for this year’s Eta Aquarids’
আর হ্যাঁ আরো কিছু তথ্য জানাই। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যাওয়া এই উল্কাবৃষ্টির অংশ একেকটি উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ১ লাখ ৪৮ হাজার মাইল গতিতে। এতো উচ্চগতির কারণে এগুলো নিজেদের চলার পথে রেখে যায় উজ্জ্বল লেজের ঝলক। এই ঝলক কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। নয়নমনোহর এই উল্কাবৃষ্টি দেখার মোক্ষম সময়টা হলো সন্ধ্যা ও ভোররাত।
তাহলে আপনি, আমি আর আমরাই বা বাদ যাই কেন! খালি চোখ আর দূরবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে আজ রাতেই চলুন তাকাই আলোকের এই ঝরনাধারায় আকাশপানে। একা এবং সঙ্গীসহ
বাংলাদেশ সময়: ..ঘণ্টা, ৫ মে, ২০১৬
জেএম/