ঢাকা: তিনমাস বয়সী শিশুটির নাম হংহং। হাত-পায়ে সব মিলিয়ে ৩১টি আঙ্গুল নিয়ে তার জন্ম।
হংহংয়ের দু’হাতে ১৫টি ও দু’পায়ে ১৬টি আঙ্গুল। দুটো হাতেই তালু রয়েছে কিন্তু কোনো বুড়ো আঙ্গুল নেই। তার বাবা-মা সন্তানকে স্বাভাবিক গড়নে নিয়ে আসার প্রত্যাশায় কেন্দ্রীয় চীনের হুনানের একটি স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসক জানান, এই অস্ত্রোপচার করা খুবই কঠিন হবে।
হংহং পলিড্যাক্টিলি বা হাইপারড্যাক্টিলি রোগে আক্রান্ত। এ রোগে ব্যক্তিদের হাত বা পায়ের আঙ্গুলের সংখ্যা পাঁচের বেশি থাকে। এমন ঘটনা ঘটে ১০০০ শিশুর মধ্যে একজনের। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক আঙ্গুল নিয়ে জন্মানোর ঘটনা খুবই বিরল।
পিপল’স ডেইলি অনলাইনের সংবাদে বলা হয়, হংহংয়ের মা নিজেও পলিড্যাক্টিলিতে আক্রান্ত। তারও হাত এবং পায়ের আঙ্গুলের সংখ্যা পাঁচের বেশি। গর্ভকালীন সময়ে হংহংয়ের মা চিন্তিত ছিলেন তার এই সমস্যাটি না জানি গর্ভস্থ সন্তানের মধ্যে দেখা দেয়।
এ কারণে তিনি দক্ষিণ চীনের সেনঝেনের কয়েকটি হাসপাতালে অনেকগুলো পরীক্ষা করান। প্রেগনেন্সির মাঝামাঝিতে তিনি সেনঝেনের ফুশন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাটারনিটি হাসপাতালে একটি ফোর-ডাইমেনশনাল আল্ট্রাসাউন্ড করান। কিন্তু তাতেও বলা হয়, তার সন্তানের কোনো অঙ্গ বিকৃতি নেই।
কিন্তু হংহংয়ের জন্মের পর যখন দেখলেন নিজের চেয়েও সন্তানের ক্ষেত্রে পলিডেক্টিলি আরও বেশি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে- তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
হুনান প্রাদেশিক পিপল’স হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক প্রফেসর লিউ হং হংহংয়ের বাবা জো চেংলিনকে বলেন, এই অস্ত্রোপচারটি খুবই জটিল। চেতনানাশক ব্যবহারের জন্য শিশুটির বয়স খুবই কম। তবে শিশুটির হাড় স্থাপন হওয়ার আগেই ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে তার অস্ত্রোপচার করতে হবে।
যদিও অস্ত্রোপচারে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা বহন করা এ পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য। কিন্তু হংহংয়ের সহজ ভবিষ্যতের জন্য তার বাবা-মা অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
এসএমএন/এটি