ঢাকা: মিশরের আবুকির উপসাগরে সেদিনই ছিলো ফ্রাঙ্ক গোড্ডিওর ডাইভিংয়ের শেষদিন। তিনি ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সমুদ্র অনুসন্ধানী।
এটি ছিলো গোলাপি গ্রানাইটে তৈরি স্ট্যাচু হাপি’র বিধ্বস্ত সাতটি টুকরার একটি। হাপি মিশরের উর্বরতা ও নীল নদের বার্ষিক বন্যার দেবতা।
এটি ছিলো সমুদ্রতল থেকে উদ্ধার করা কয়েকশো উল্লেখযোগ্য বস্তুর মধ্যে অন্যতম, যা ফ্র্যাঙ্ক ও তার দল ২০০০-২০০১ সালে খুঁজে পান। ওইসময় তারা হারানো মিশরীয় শহর থোনিস-হেরাক্লেইওন ও ক্যানোপাস পুনরায় আবিষ্কার করছিলেন।
যদিও দুর্ঘটনায় হাপির স্ট্যাচুটি সাত টুকরায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে কিন্তু তার কাছে এটি নিঃসন্দেহে মূল্যবান একটি প্রাপ্তি বলে জানান ৬৮ বছর বয়সী ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট ফর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজির এ প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।
এ সম্পদগুলো পরের মাসেই পৌঁছে যাবে ব্রিটিশ জাদুঘরের ব্লকবাস্টার ডুবোশহরের প্রদর্শনীতে। হাপি ছাড়াও ফ্র্যাঙ্কের উদ্ধারের অংশবিশেষের মধ্যে রয়েছে-
দ্য লস্ট গডেস
প্রকাণ্ড রানি মূর্তিটি লম্বায় ১৬ ফুট ও ওজনে ছয় টন।
হাপি
প্রায় ১৮ ফুট লম্বা হাপির স্ট্যাচুটি ওজনে ছয় টন। আবিষ্কৃত মিশরীয় দেবতাদের মূর্তির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।
দেয়াল লিখন
দুই হাজার তিনশো বছরের পুরোনো স্টেলাটি প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৭৮-৩৬২ সালে প্রাচীন মিশরের ফারাও প্রথম নেক্তানেবো এটি তৈরি করেন।
ফেস ইন দ্য ডার্ক
গ্রিক-মিশরীয় দেবতা সেরাফিসের মাথা এটি। এটিই সম্ভবত ফ্রাঙ্কের খুঁজে পাওয়া গ্রিক ও মিশরীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে সুন্দর উদাহরণ।
হেড ইন দ্য স্যান্ড
থোনিস-হেরাক্লেইওন ও ক্যানোপাস ছিলো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র। যার ভিত্তি ছিলো নীল নদ পূজা ও আত্মত্যাগমূলক উপাদান।
এছাড়া সমুদ্রতলে পাওয়া গেছে শত শত ধর্মীয়কাজে ব্যবহার্য উপাদান ও পুরোহিতের মস্তক। ফ্র্যাঙ্ক ও তার দল খুঁজে পেয়েছেন কয়েকজন পুরোহিতের মস্তকের অবশিষ্টাংশ যারা মন্দির ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
‘ডুবো শহর: মিশরের হারানো পৃথিবী’ প্রদর্শনীটি লন্ডনের ব্রিটিশ জাদুঘরে চলবে আগামী ১৯ মে থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস