ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

ফিচার

কাঠফাটা দুপুরে কাকছানাদের খানাদানা (ফটোস্টোরি)

জি এম মুজিবুর, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
কাঠফাটা দুপুরে কাকছানাদের খানাদানা (ফটোস্টোরি)

কোনও এক কাঠফাটা দুপুরে হঠাৎ দেখি গাছের মগডালে একটি মা কাক ঠোঁট দিয়ে ঠোকরাচ্ছে ছানাটির ঠোঁট। নীচ থেকে মুখখানি মেলে ধরে ছানা যেনো বলছে- মা! বড়ই ক্ষিধে!

মায়ের ঠোঁঠের কাছে ছানাটি যখন কিছু একটা খাচ্ছিলো তখনই নিচ থেকে ফুঁড়ে বের হলো আরও দুটি ঠোঁট।

হা হয়ে থাকা সেই মুখের ভেতরে লাল রঙ। আর সেখানেও যেনো একই ক্ষিধের আঁকুতি।

উড়ে গেলো মা কাকটি। প্রথম ক্ষুধার্ত ছানা তখন আরও বড় হা করে ক্ষিধের জানান দিচ্ছে। আর দ্বিতীয়টি মুখ লুকিয়েছে কাকের বাসার খড়ে-বিচালিতে।

ক্ষণকাল পরে উড়ে এলো মা কাক। প্রথমেই পালকের নিচে একটু জাপটে ধরে ছানাটিরে আদর দিলো।

এরপর লাফিয়ে উঠলো পাশের চিকন ডালে। যুতমতো দাঁড়িয়ে মুখ ভরে নিয়ে আসা খাবার ছানাটির গলার ভেতরে ঠোঁট গলিয়ে দিয়ে তুলে দিলো। ততক্ষণে ক্ষুধাতুর দ্বিতীয় ছানা ফের মুখ তুলে হা করেছে।

ফের মা কাক নেমে এলো নীড়ের খড়ে। সেখানে দুটি ছানার বসার জায়গাটি ঠিক ঠাক করে দিলো ঠোঁট দিয়ে নেড়ে। চোখে পড়লো বেশ শক্ত গাঁথুনির এই পাখির নীড়। চারিদিকে লোহার শক্ত গুনা দিয়ে পেচানো। মাঝে খড়-বিচালি এটা ওটা।

দুই ছানা তখন দুই দিকে মুখ তুলে হা করে আছে। মা কাক একবার একে আরবার ওকে খাইয়ে দিচ্ছে।

সঙ্গে ভেসে আসছে দুই ছানার চি চি শব্দ

ফের উড়ে গেলো মা কাক। ছানা দুটি তখনও চিল্লাচ্ছে। ক্ষিধে বুঝি তাদের থেকেই গেছে।

একবার এদিক ফিরে আরেকবার অন্যদিকে ফিরে চলছিলো তাদের ক্ষুধার চিৎকার

এবার দেখি বাবা কাক উড়ে এসে বসেছে নীড়ের পাসে। ছানাদুটির কাছাকাছি।

ক্ষণকাল পরে দেখি মা কাকটিও উড়ে এলো। বাবা কাক ততক্ষণে পালকের নিচে লুকিয়েছে দুই ছানাকে। মনে হলো আহা! কি দারুণ কাকের পরিবার।

ছবিগুলো রাজধানীর বকশিবাজার থেকে তোলা।    

বাংলাদেশ সময় ১১৩৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।