রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল,
আম কাঁঠালের মধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠে মাতাও তরুতল।
কবি কাজী নজরুলের কথায় তরুতল মেতে ওঠার সেই দিনগুলো শুরু হয়ে গেছে।
কোনওটা লাল কোনওটা হলুদ, কোনওটা পেকেছে গাঢ় কালো রঙ ধরে । এছাড়াও পেকেছে করমচা, জামরুল, আতা, বেল। মাঠে মাঠে পাক ধরেছে তরমুজ, ফুটি, বাঙ্গিতেও। বাহারি রঙের হরেক স্বাদের এসব ফলের গন্ধে ভরে উঠেছে চারিধার।
জ্যৈষ্ঠ এসেছে মধুমাসের সাজে।
গাঁয়ে গাঁয়ে গাছের তলায় এখন এসবের গন্ধ। আর তাতে মেতেছে বাংলার মানুষ।
এটাইতো মধুমাসের সাধারণ চিত্র। তবে সেদিন বুঝি আর নেই। তরুতল মাতানো দূরন্ত শৈশব ভুলে অনেকেই আজ শহরমুখী। গাঁয়ে যারা থেকে গেছে তারাও কি পাচ্ছে এমন ফল আর ফলের গন্ধ।
ফল যা ফলে, তাও চলে আসে শহরে। শহরেতো আসবেই! কিন্তু কিভাবে? কেমন হবে সেই ফল? গাছ থেকে পেড়ে আনা, কিংবা মাঠ থেকে তুলে আনা এসব ফল-ফলাদির গায়ে যে বরণ তা হলুদ ঠিকই কিন্ত সে রঙ তো রাসয়নিকের ফসল। কিংবা ফলের ভেতরটাতে রাসয়নিক দিয়ে তবেই তা রাখা হচ্ছে অনেক বেশি সতেজ করে। আমরা এই সব ফল চাই না। মধুমাসের ফলের গন্ধে মৌ মৌ করুক চারিধার। আর তরুতল মাতুক গন্ধে-ছন্দে-আনন্দে।
বাংলাদেশ সময় ১২৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
এমএমকে