ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে জানলেন তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন!

​ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে জানলেন তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন!

ঢাকা: জেড উইগলি। ২১ বছর বয়সী এ নারী প্রসবের আগে জানতেনই না তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

গত বছরের মার্চে তার প্রচণ্ড পেটেব্যথা হয়। ডাক্তার দেখালে তারা জানান, জেডের পেটের আস্তরণে টান লাগার কারণে এমন ব্যথা হচ্ছে। তারপরও জেড নিশ্চিত হতে এসেক্সের বাসিলডন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে প্রেগনেন্সি টেস্ট করান। কিন্তু তা নেগেটিভ আসে।

পেশায় রিটেইল ওয়ার্কার জেড নির্দ্বিধায় সাধারণ জীবন-যাপন করছিলেন। এমনকি প্রসবের আগের রাতেও তিনি অ্যালকোহল নিয়েছেন। গতবছর জুলাইয়ের ৬ তারিখ সকালে প্রচণ্ড পেটব্যথায় ঘুম ভেঙে যায় তার। বাবা ওয়েইনি বারোকে (৪৩) জানালে তিনি দুপুরে জেডের জন্য ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেন।

পেটব্যথার জন্য তিনি ব্যথ‍ানাশক ওষুধও খেয়েছেন। এসেস্কের সাউথ ওকেনডনবাসী জেড জানান, আমি দ্রুত বাথরুমে চলে যাই। সেখানেই জর্জের জন্ম হয়। অ‍ামার বুঝতে পারছিলাম না এটা কী হচ্ছে, মনে হচ্ছিলো আমার পেটের ভেতরের সব জিনিসপত্র বের হয়ে আসছে।


জর্জের জন্ম হওয়ার পর জেড তাকে দ্রুত তোয়ালে জড়িয়ে কোলে নেন ও বাবাকে জানান। জেডের বাবা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। হাসপাতাল থেকে সহকর্মীরা এসে নাভিরজ্জু কেটে জর্জকে আলাদা করেন ও ওজন নেন। জন্মের পর তার ওজন ছিলো দেড় কেজি। ডাক্তার জানান, প্রিম্যাচিওর বেবির বয়স সাত থেকে ১০ মাস হবে।

কিন্তু অন্তঃস্বত্ত্বা হলেও জেডের ঋতুচক্র চলছিলো, ওজনও বাড়েনি। জর্জের জন্ম হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক মাপের জামাকাপড়ও পরেছেন।

নবজাতক জর্জকে চারদিনের জন্য ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। জেড জানান, জর্জের বাবা মার্টিন রচ (২৭) প্রথমে পাঁচ মিনিট চুপ ছিলেন। তিনি ছিলেন বিস্মিত।

জর্জের অপ্রত্যাশিত আগমনে জেডও বিভ্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি একজন সুখী মা।


জেড জানান, অ‍ামি বাচ্চাদের সবসময়ই ভালোবাসি। কিন্তু তা এত কম বয়সে মা হবো ভাবিনি।  

জেডের এই অজ্ঞাত প্রেগনেন্সিকে ডাক্তারি ভাষায় ক্রিপটিক প্রেগনেন্সি বলে। যুক্তরাজ্যে ৪৫০ জন নারীর একজনের এই প্রেগনেন্সি হয়। তার‍া ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভে সন্তান ধারণ করেন। অন্যদিকে দুই হাজার পাঁচশো নারীর মধ্যে একজন সন্তান জন্মদানের আগ পর্যন্ত নিজেদের গর্ভধারণ সম্পর্কে টের পান না। একে ক্রিপটিক প্রেগনেন্সি বলে। যাদের মাসিক ঋতুচক্রে গণ্ডগোল রয়েছে তারা নিজেদের গর্ভকালীন লক্ষণগুলোকে অনেক সময় ধরতে পারেন না। বিশেষ করে যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম রয়েছে তাদের হরমোনাল ইমব্যালেন্স ও পিরিয়ডিক্যাল সাইকেল অনিয়মিত হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে এ সমস্যাটি দেখা দেয়।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
এসএমএন/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।