ঢাকা: গোপনে নয়, প্রকাশ্যে সুই, ইঞ্জেকশন-সিরিঞ্জে চলছে মাদক গ্রহণ। এমন চিত্র রাজধানী ঢাকাতেই।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফুটওভার ব্রিজের ওপরে উঠতেই দেখা মেলে কয়েকজন বসে সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করছেন। একজনের সিরিঞ্জ ব্যবহার করছেন একাধিক ব্যক্তিও।
ভালো করে দেখে যেন মনে হলো এর মধ্যে এক যুবক মাদক নেওয়ার ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন! কিন্তু না, যুবকটি অাসলেই দীর্ঘ দিনের মাদকসেবী, অন্তত তা বোঝাই যায়।
নেশার তাড়নায় এতোটাই মগ্ন যে ছবি তোলায় কোনো শঙ্কাই কাজ করছিল না তার। পরে কাছে গিয়ে কথা বলে জানা গেলো, তার নাম আল আমিন (২৫)। গ্রামের বাড়ি ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের চানমারিতে। ভালোই ছিল তার সুখের সংসার, কিন্তু হঠাৎ করে মা মারা গেলে বাবা দ্বিতীয় করেন। তখন ঘটে বিপত্তি। সৎ মায়ের সংসারে বড় হতে হয় আল আমিনকে, সঙ্গে ছিল মার অত্যাচার।
এভাবে ১০ বছর কাটলেও, তার বাবা মারা গেলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখলের জন্য সৎ ও অন্য ভাই-বোনরা মিলে আল আমিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তখন তিনি ঢাকায় পালিয়ে অাসেন। কোনো কাজ না পেয়ে শেষে ফুটপাতে কাগজ কুড়ানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েন তিনি। এখন তার ঠিকানা ফুটপাত। তাইতো প্রতিদিন রাস্তা, ফুটপাত, ওভারব্রিজ বিভিন্ন স্থানে ঘুমান, আর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন। টুকটাক ইনকাম হয় সেই কাগজ কুড়িয়েই।
আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কি কাগজ টুকিয়ে বিক্রি করলেই জীবন চলে! এখন পর্যন্ত চুরি ও ছিনতাইয়ের দায়ে মোট ছয়বার জেল যেতে হয়েছে...।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
আইএ