ঢাকা: মিশরের হারানো ডুবো শহর হেরাক্লেইয়ন ও কানোপাসে কিছুদিন আগেই হানা দিয়েছিলেন ইউরোপীয় একদল ডুবুরি। ভূমধ্যসাগরের তলদেশ থেকে হাজার বছরের পড়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদগুলো উদ্ধার করেন ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক গোড্ডিও ও তার দল।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এ প্রদর্শনীটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রদর্শনীতে রয়েছে ছয় টন ওজনের মিশরীয় দেবতা হাপির ১৮ ফুট লম্বা একটি মূর্তি। আরও রয়েছে তিনশো বছরের পুরনো প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা একটি দেয়াল লিখন।
খ্রিস্টপূর্ব ৩৭৮-৩৬২ সালে প্রাচীন মিশরের ফারাও প্রথম নেক্তানেবো এটি তৈরি করেন বলে জানা যায়। আরও রয়েছে ফেস ইন দ্য ডার্ক ও হেড ইন দ্য স্যান্ডসহ আরও তিনশোটি প্রাচীন নিদর্শন।
১৯৯৬ সালের আগে ডুবো শহরটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর ২০০০-২০০১ সালে গোড্ডি ও তার দল প্রথমবারের মতো এখানে আসেন। সম্প্রতি দ্বিতীয়বার আবিষ্কারের সময় তারা এ উদ্ধারকাজ চালান।
‘মিশরের হারানো পৃথিবী’ শিরোনামে প্রদর্শনীটি লন্ডনের ব্রিটিশ জাদুঘরে চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এ প্রদর্শনীতে নীলনদ অঞ্চলের সংস্কৃতির পাশাপাশি মিশর ও গ্রীসের সংস্কৃতির মিথস্ক্রিয়ার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফ্র্যাঙ্ক গোড্ডিওর দল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হারানো সম্পদগুলোকে খুঁজে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার টিম ও হিলটি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের সহযাগিতায় পানির নিচের ডুবোশহরে এই অনুসন্ধান করা গেছে।
এ প্রদর্শনী এতো বছরের কল্পনায় আঁকা ডুবোশহরের বাস্তব প্রতিচ্ছবি মানুষের সামনে নিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস