ঢাকা: এই সেই বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক আগে বর্বর পাকিস্তানি ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনীর বাঙালি-বুদ্ধিজীবী নিধনের স্থান।
এর চারপাশে সবুজ ঘাস। বেদির দিকে ঝুঁকে গ্রীষ্মে তপ্ত রোদ আর বর্ষায় ফোটা রক্তরঙা কৃষ্ণচূড়া যেন প্রতিবাদের নতুন প্রতীকী ভাষা।
এখানেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিলো বাঙগালি জাতির বিবেক, চেতনা মননশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক, এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের।
পরিত্যক্ত ইটের ভাটার এ বধ্যভূমি থেকে আজো যেন ভেসে আসে শৃঙ্খলিত হাত-পা উৎপাটিত চোখ, বেয়েনেটবিদ্ধ শহীদের আর্তনাদ। শোনা যায় স্বাধিকার প্রত্যাশী প্রতিবাদী কণ্ঠের গোঙানি আর মানুষরূপী রক্তলোলুপ হায়েনার মরণোল্লাস। আকাশ এখানে থমকে আছে। বাতাস ভারী। পত্রপল্লব অনড়। শোক ভাষাহীন। এ নির্বাক শোক, আর বেদনারই বিমূর্ত প্রতীক এ স্মৃতিসৌধ।
সবুজ পাতার পরতে পরতে ফুটে আছে রক্তাভ লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। পিছনে কালো শোকস্তম্ভের পাশে উড়ছে ত্রিশলাখ শহীদের রক্তে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।
রায়েরবাজার বধ্যভূমির রাস্তা দিয়ে চলাচল করা স্বাধীন দেশের জনগণকে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দিতে প্রকৃতি যেন দায়িত্ব দিয়েছে তাকে!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
এএ