ঢাকা: কী হ্যান্ডসাম! চকচকে কালো সুঠাম দেহ, লম্বা ঝোলা লেজ আর বাতাসে ছন্দ তোলা বিশাল কালো কেশ। বাস্তবের ব্ল্যাক বিউটি বোধহয় একেই বলে।
সৌর্য-বীর্য আর এমন ব্যক্তিত্ব রাজা-রাজড়াদের বেলায় দারুণ খাটে। আর তাই হয়তো ঘোড়াটির নাম রাখা হয়েছে প্রুশিয়ার শাসক ফ্রেডরিখের নামে। তিনি ১৭৪০ থেকে ১৭৮৬ পর্যন্ত শাসন করেছেন।
প্রজাতিতে ফ্রিজন ঘোড়াটি থাকে ওজাক পর্বতমালার পিনিকল ফ্রিজনস ঘোড়াপালন প্রতিষ্ঠানে। ফ্রিজন নেদারল্যান্ডের ফ্রিজল্যান্ড থেকে উদ্ভূত এক প্রজাতির ঘোড়া।
অনলাইন গ্যালারিতে ফ্রেডরিখের দুর্দান্ত ছবি দেখে মুগ্ধ হন অনেকেই। বাতাসে আছড়ে পড়া তার চুলের দলুনি আর দুরন্ত গতি প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো।
ফ্রেডরিখের ফেসবুক পেজে ফলোয়ার ১২ হাজার পাঁচশোর বেশি। তার নিজ নামে একটি ব্লগও রয়েছে। যেখানেও রয়েছে তার কিছু অন্ধভক্ত।
ভক্তদের অনেকেই তাদের ভালোবাসার কথা ব্লগে জানায়। একজন লিখেছেন - আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়া তুমি। একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব এমন শৈল্পিক, উত্তেজনাকর অার অপূর্ব কিছু তৈরি করা।
অন্যজন লিখেছেন, এমন সৌম্য, হ্যান্ডসাম ঘোড়া পৃথিবীতে আর নেই। আমি যদি একবার তাকে ছুঁতে পারতাম, একবার তার গন্ধ নিতে পারতাম!
জানা যায়, গতবছর আগস্টে ফ্রেডরিখ প্রথম বাবা হয়। তার ছেলে ভন বাবার মতোই চেহারা পেয়েছে। মাত্র নয় মাস বয়সেই সে হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয়।
পিনিকল ফ্রিজনসে ফ্রেডরিখের পেছনে ব্যয় হয় মোট সাত হাজার পাঁচশো অস্ট্রেলিয়ান ডলার। তা তো বটেই, এমন এক রাজকীয় ঘোড়া লালন-পালন করা কি চাট্টিখানি কথা!
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ