ঢাকা: জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও সঙ্গীতশিল্পী মেরিলিন মনরো। আসল নাম নর্মা জিন মর্টেনসন।
মেরিলিন মনরোর জীবন ও জীবনাবসান নিয়ে গুঞ্জন আর কৌতুহলের শেষ নেই। ১৯২৬ সালের ০১ জুন ক্যালিফোর্নিয়ায় মেরিলিন মনরো জন্ম নেন। কিংবদন্তী এ অভিনেত্রীর জন্মদিনে তার জীবনের আটটি অজানা বিষয় নিয়ে থাকছে বাংলানিউজের বিশেষ আয়োজন।
মেরিলিন তোতলাতেন!
ছোটবেলা থেকে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত মেরিলিন কথা বলার সময় তোতলাতেন। পরবর্তীতে তোতলামি কেটে যায়। কিন্তু ‘সামথিংস গট টু গিভ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি স্ট্রেসের কারণে ফের তোতলাতে থাকেন।
মৃত্যুর পর মনরোর পোশাক লাখ টাকায় বিক্রি হয়
মৃত্যুর পর মেরিলিনের পরিধেয় পোশাক অনেক দামে বিক্রি হয়। জন এফ. কেনেডির জন্মদিনে মেরিলিন যে স্কিন টাইট পোশাক পরেছিলেন, তা ১৯৯৯ সালে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আবার ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ চলচ্চিত্রে যে সাদা পোশাক পরেছেন, তা ২০১১ সালে বিস্ময়করভাবে ৪৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
এলা ফিটজেরাল্ডকে মনরোই তারকা বানান
কৃষ্ণাঙ্গী হওয়ায় জ্যাজ সঙ্গীতশিল্পী এলা ফিটজেলাল্ড মোকাম্বো হলিউড নাইটক্লাবে বুকিং দিতে পারতেন না। মেরিলিন মনরো নাইটক্লাবের মালিককে বলেন, যদি তিনি এলাকে সেখানে গাইতে দেন, তাহলে মনরো প্রতি রাতে ক্লাবের প্রথম সারির টেবিলে বসে সঙ্গীত পরিবেশনা দেখবেন।
মনরো কোনো অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পাননি
অভিনয়ে চোখ ধাঁধালেও মেরিলিন মনরো কখনও অ্যাকাডেমি মনোনয়ন পাননি। তবে ‘সাম লাইক ইট হট’ চলচ্চিত্রে সুগার ক্যানের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি গোল্ডেন গ্লোব জেতেন।
ন্যুড ফটোগ্রাফের জন্য মাত্র ৫০ ডলার পেয়েছিলেন
প্লেবয় ম্যাগাজিনে মনরোর আলোচিত ন্যুড ফটোসেশনের জন্য তাকে মাত্র ৫০ ডলার দেওয়া হয়। আসলে ১৯৪৯ সালে আলোকচিত্রী টম কেলি ছবিগুলো ক্যালেন্ডারের জন্য তোলেন। পরে প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রকাশক হিউ হেফনার ৫০০ ডলারে কিনে নেন মনরোর ছবিগুলো।
২০ বছর ধরে মনরোর কবরে ফুল দিয়েছেন তার স্বামী
একবার মেরিলিন তার দ্বিতীয় স্বামী জয় ডিম্যাজিওকে প্রতিজ্ঞা করান, তিনি মারা যাওয়ার পর ডিম্যাজিও যেনো প্রতি সপ্তাহে মনরোর কবরে ফুল দেন। ডিম্যাজিও তার প্রতিজ্ঞা রেখেছিলেন। তিনি ২০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে মেরিলিন মনরোর কবরে আধডজন গোলাপ রেখে আসতেন।
তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করেছিলেন
মনরোর মেডিকেল রেকর্ড বলে, তার চিবুক ও নাকে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছিলো। এই মেডিকেল রেকর্ডটি ২৫ হাজার ছয়শো মার্কিন ডলারে নিলামে বিক্রি হয়।
প্রায় এক ডজন পালক বাবা-মা ছিলো মনরোর
ছেলেবেলায় অনাথাশ্রমে থেকেছেন মেরিলিন। এরপর ভিন্ন ভিন্ন ধাপে ১১ জন পালক বাবা-মায়ের কাছে বড় হন তিনি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস