ইট-কাঠ-পাথরের নগরে সৌন্দর্য্য খুঁজে পাওয়া ভার। তার মাঝেও লুকিয়ে থাকে কিছু সুন্দর স্থান, সুন্দর আয়োজন।
এই নগরীর আকাশেও চলে নীল আকাশ আর কালো মেঘে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি খেলা। আর তার প্রতিচ্ছবি যখন ঝিলের স্বচ্ছ পানিতে দেখা যায়, তখন সেই সৌন্দর্য্য বাড়তি দ্যোতনা দেয় বৈকি!
নগরীর হাতির ঝিলের ছোট্ট একটি অংশ রয়েছে টঙ্গি ডাইভারশন রোডের পশ্চিম দিকে। এই জলাশয়টির উত্তর দিকের পাড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার মনটা ভালো হয়ে যাবে।
দক্ষিণপাশ ঘেঁঘে রেললাইন। একটু পরপর যখন সেই রেল লাইন ধরে ট্রেনগুলো ছুটে যায় আর তারও প্রতিচ্ছবি পড়ে ঝিলের পানিতে। তখন প্রকৃতি ও নাগরিক জীবনের এক অদ্ভুত মিশেলে তৈরি হয় বাড়তি সৌন্দর্য্য।
রোববার দিনভর সেখানে ক্যামেরা তাক করে বসেছিলেন বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট দীপু মালাকার। তার ক্যামেরায় কখনো পানিতে নীল আকাশ, কখনো কালো মেঘ আবার কখনো সাদা মেঘের ভেলা ধরা পড়ে।
আর রেললাইনটি এখানে এমন ভাবে প্রবাহিত যে সেখান থেকে দুটি ভাগ হয়ে উপরে ও নীচেও সৃষ্টি করে একই দৃশ্য। একই দালান কোঠা, একই রেল, এই মেঘ একই গালপালা দুই দিকেই।
এ ছাড়াও ঝিলের উত্তর দিকটা জুড়ে সবুল শ্যাওলা আর ঝিলপাড়ে ছাগল চড়ে বেড়ানো দৃশ্য আপনাকে এই নগরে গ্রামের সৌন্দর্য্যকেই মনে করিয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সময় ১০৫২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
এমএমকে