ঢাকা: কায়রো অসংখ্য মানুষের পদচারণায় মুখরিত পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি। দুই হাজার বছর আগে, রোমান দখলদারিত্ব শুরু হলে শহরটি আত্মপ্রকাশ করে।
এত বছরে কায়রো বদলেছে কতখানি? এখানকার সাপুড়ে, ভূমধ্যসাগরীয় সরু নৌকা ও ব্যস্ত রাস্তার শতবর্ষের পুরনো ছবিরা হয়ে রয়েছে পরিবর্তনশীল কায়রোর চূড়ান্ত সাক্ষী।
১৯০০ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে তোলা কিছু ছবি কায়রোর রাতারাতি বদলে যাওয়া সেই সময়কে তুলে ধরে। দুর্লভ ছবিগুলো কেবল মিশরের রাজধানীর দৈনন্দিন যাপিত জীবনকেই প্রকাশ করে না, সেইসঙ্গে প্রকাশ করে তার চিরন্তন পর্যটন আবেদন এবং সম্মোহনকারী রূপসুধা। যা ইতিহাস জুড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের কল্পনায় জায়গা করে নিয়েছে।
১৯৩৬ - কায়রোর বাইরে গিজা পিরামিড। আরবি নাম ‘আলকাহিরাহ’ থেকে কায়রোর ইংরেজি নামটি এসেছে। এর অর্থ বিজয়ী।
১৯৩৪ - দুটো উট নিয়ে কায়রোর রাস্তা ধরে যাচ্ছেন এক লোক। সঙ্গে ছোট্ট ছেলে। তাদের পানি ও বাক্স বহন করে নিয়ে যাচ্ছে ছেলেটির সঙ্গে থাকা গাধা।
১৯৩৪ - নীল নদের একটি খালে নোঙর ফেলেছে পণ্য বোঝাই কার্গো নৌকা।
১৯৩৪ - প্রাচীন কায়রোর ব্যস্ত সড়কে শিশুরা খেলছে। বয়স্করা ব্যস্ত নিজেদের ব্যবসা নিয়ে।
১৯০০ - ছবিতে ইবনে তৌলুনের মসজিদ।
১৯৩৬ - নীল নদের প্লাবনভূমিতে দাঁড়িয়ে এক কৃষক। তার ঠিক পেছনেই মাথা উঁচু করে রয়েছে অত্যাশ্চর্য পিরামিডের সারি।
১৯০০ - সাপুড়েকে ঘিরে মানুষের ভিড়।
১৯০০ - কাইত বে মসজিদের বাইরে এক লোক ও তার গাধা দাঁড়িয়ে।
১৯০০ - কায়রোর গাধার বাজার।
১৯২০ - পরিবর্তনশীল সময়: নীলনদে একটি হাল আমলের স্টিমবোট প্রাচীন আমলের এক ভূমধ্যসাগরীয় সরু নৌকার পাশ কেটে যাচ্ছে। যেন নতুন সময় পাশ কেটে যাচ্ছে পুরনো সময়কে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
এসএমএন/এএ