ঢাকা: শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম গতিপথ যোগব্যায়াম। নিয়মিত যোগব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
যোগব্যায়ামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি দেহের মাংসপেশীর কোনোরকম বৃদ্ধি ছাড়াই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, শ্বাসতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ ও কলায় পুষ্টি যোগায়, শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন ও শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিটের যোগাসন আপনার দেহ-মন ফুরফুরে করতে সক্ষম। এজন্য প্রয়োজন একগ্রতা, ইচ্ছে আর অনুশীলন। অনুশীলনের সুবিধার্থে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য থাকছে যোগাসনের ২০টি প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক আয়োজন। সপ্তম পর্বে থাকছে ভুজঙ্গাসন ও ধনুরাসন–
ভুজঙ্গাসন
প্রক্রিয়া: গোঁড়ালি জড়ো করে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের তালু মাটির সঙ্গে লেগে থাকবে ও উপরের পাতা থাকবে কাঁধ বরাবর। এবার শ্বাস নিয়ে, পেট মাটির সঙ্গে রেখে মেরদণ্ডে ভর করে শরীরের উপরের অংশ উপরের দিকে তুলুন। মাথা যতটা সম্ভব পেছনের দিকে হেলিয়ে দিতে চেষ্টা করুন। ফণা তোলা সাপের মতো হবে অঙ্গভঙ্গি। ২০ সেকেন্ড এভাবে রাখুন। ২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে আসনটি আবার করুন।
উপকারিতা
• সব ধরনের স্ত্রীরোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
• ঘাড়, গলা, মুখ, বুক, পিঠ, কোমর ও মেরুদণ্ডের স্নায়ুতন্ত্র ও পেশী সতেজ ও সক্রিয় থাকে।
• মেরুদণ্ডের হাড় নমনীয় হয়।
• টনসিল থেকে মুক্তি।
• যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারী।
• মানসিক উদ্বেগ ও উত্তেজনা হ্রাস করে।
ধনুরাসন
প্রক্রিয়া: মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে হাঁটু ভেঙে গোঁড়ালি কোমর বরাবর আনুন। এবার পেট মেঝের সঙ্গে লাগিয়ে শরীরের উপরের অংশ ভুজঙ্গাসনের মতো পেছনের দিকে হেলিয়ে নিতে চেষ্টা করুন। একইসঙ্গে দু’হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরুন। ১০ সেকেন্ড এভাবে স্থির থেকে আগের অবস্থানে শুয়ে পড়ুন।
উপকারিতা
• কিডনি, থাইরয়েড ও এড্রিনাল গ্রন্থি সুস্থ রাখে।
• কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
• মেরুদণ্ডের স্নায়ুতে রক্ত চলাচল বাড়ে।
• পিঠের ব্যথা দূর হয়।
• কোমর ও পেটের মেদ কমে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ