ঢাকা: মেক্সিকান শহর তুলতেপেকে জীবাশ্মবিদরা পেয়েছেন একটি সুবৃহৎ ম্যামথের দেহাবশেষ। ঢাউস জীবের মাথার কঙ্কাল দেখে বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন, এটি ১৬ ফুট উঁচু ও কমপক্ষে ১০ টন ওজনের ছিলো।
অভিজ্ঞরা বলেন, অনেক যুগ আগের দানবটি এ স্থানে ১২ থেকে ১৪ হাজার বছর আগে মারা গেছে। এটির দেহাবশেষের মাত্র সাড়ে ছয় ফুট উপরে আধুনিক সভ্যতা সেজে উঠেছে। জানায় দ্য টেলিগ্রাফ।
মেক্সিকো শহরের এ রাস্তার কাজ শুরু হয় গত এপ্রিল মাসে। তিন ফুট চওড়া মাথাটি মাটি থেকে সম্পূর্ণভাবে তোলা হয়েছে। তবে এটি খুব দ্রুত প্রক্রিয়া ছিলো না। আকৃতি ও কাঠামো যথাসম্ভব অক্ষত রেখে সবগুলো হাড় থেকে ১০ হাজার বছরের ধূলামাটি সরানো হয়েছে। খুলি ছাড়াও পাওয়া গেছে শরীরের অন্য হাড়, পাঁজর, পায়ের হাড় ও মেরুদণ্ড। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণীটি মারা যাওয়ার পরও তাকে নির্মম ভাগ্যের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
জীবাশ্মবিদ লুইস কর্দোবা ব্যরাডাস একটি স্টেটমেন্টে জানান, ম্যামথের এ নমুনাটি মানুষের কোনো দল ছিন্নভিন্নভাবে কেটেছিলো। তারা সম্ভবত প্রাণীটির দেহে আঘাত করে মাংস কেটে নিয়েছিলো। যখন মারা যায় তখন ম্যামথের সম্ভাব্য বয়স ছিলো ২০-১৫ বছর।
তাদের ধারণা, ভারীদেহী ম্যামথ কাদায় আটকা পড়েছিলো। মৃত্যুর পর অন্য প্রাণীরাও তার উপর আক্রমণ চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
ম্যামথটি ম্যামথাস কোলাম্বাই প্রজাতির। উত্তর ও কেন্দ্রীয় আমেরিকান এ প্রজাতির ম্যামথ বিভিন্ন সময়ে ইউরোপের নানা অঞ্চলে পাওয়া গেছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যান্থ্রোপোলজি অ্যান্ড হিস্টোরির পুরাতত্ত্ববিদ লুইস জানান, মেক্সিকোতে পঞ্চাশের বেশি ম্যামথ পাওয়া গেছে। তাদের কঙ্কালগুলো সাধারণত হ্রদ ও অন্য পানির উৎসগুলো কাছাকাছি স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৬
এসএমএন/এএ