ঢাকা: ঈদে সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে মেহেদি। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যেবেলা ঘটা করে মেহেদির রঙে হাত সাজানো হয় প্রায় ঘরেই।
আগের দিনের মতো এখন আর শিল-পাটায় মেহেদি পাতা বেঁটে হাতে লাগানো হয় না। আগে মেহেদি পাতা পাটায় বেঁটে হাতে প্রলেপ দেওয়া হতো। গাঢ় রং করতে বাঁটার সময় ব্যবহার করা হতো খয়ের। তখন মেহেদির ডিজাইন বলতে বেশিরকম কিছু ছিলো না। নখ, আঙুলের অগ্রাংশ আর তালু বা হাতের পিঠে গোলাকৃতির প্রলেপ ছিলো মেহেদির নকশা। এখন বাঁটা মেহেদির সময় উঠেই গেছে বলা যায়।
বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের, নানা ব্র্যান্ডের টিউব মেহেদি পাওয়া যায়। প্রয়োজন আর পছন্দ অনুযায়ী যে যার মতো করে কেনেন। তবে আগের আর এখনকার মেহেদি লাগানোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, এখন মেহেদীর ডিজাইনটাই ফ্যাশনেবল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ডিজাইনেও আসে পার্থক্য। কখনও জড়োয়া ভারী নকশা, আবার কখনও হালকা নকশা। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নও প্রাধান্য পাচ্ছে মেহেদির নকশায়। পারফেক্ট নকশার জন্য মেহেদীর প্যাকেটের ভেতরই থাকে ফ্রি ডিজাইন বুক। ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকে পার্লারে গিয়ে নানা নকশায় মেহেদি লাগান।
বর্তমানে ইন্টারনেটে চমৎকার সব মেহেদি ডিজাইন আইডিয়া পাওয়া যায়। ফেসবুকেও রয়েছে কিছু পেজ। মেহেদির রঙের কথায় আবার ফিরে আসি। আগে বাঁটা মেহেদী হাতে লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে ধোয়া হাত ধোয়া হতো না। শুকনো ঘেষে তুলে ফেলা হতো। সারারাত ওভাবেই হাত রেখে পরের দিন সকালে হাত ধোয়া হতো। আবার নানি-দাদিদের টিপস ছিলো মেহেদি তুলে হাতে সরষের তেল ঘষে নিলে রং ভালো হয়।
এখনকার দিনে টিউব মেহেদির কিছু ব্র্যান্ড এমনিতেই দ্রুত রং এনে দেয়। তবে বাড়তি রঙ আনতে হাতে মেহেদি শুকানোর পর তাতে ভিনেগার বা লেবুর রস লাগানো হয়। এছাড়াও কোনো কোনো মেহেদির সঙ্গে মেহেদি তেল পাওয়া যায়। তবে, মেহেদি তেল কখনওই মেহেদি তোলার পর ব্যবহার করতে নেই। এটি ব্যবহার করতে হয় মেহেদি লাগানোর আগে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, ০৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ