ঢাকা: বৃষ্টির ফোটা মাটিতে পড়তেই চারদিকে মুগ্ধতা ছড়িয়ে নাচতে শুরু করল ময়ূরটি। কারো কাছে বিষয়টি ছিল মুদ্ধ হওয়ার মত।
কেউবা বললেন, ঘটনাটি কালেভদ্রে ঘটে। কেউ বললেন, এতো মানুষের ভিড়ে কোনো দিন এমন ঘটনা ঘটেই না। কেউ বললেন, ঘটনাটি ঘটলেও দেখার সুযোগ কেবল ভাগ্যবানরাই পায়।
ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিন রোববার (১০ জুলাই) ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় একটি ময়ূরের ‘হঠাৎ নৃত্য’ দেখার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যবান দর্শনার্থীদের অভিব্যক্তি এমনটিই ছিল।
বিকেল তখন সাড়ে ৩টা। রোদ-মেঘের লুকোচুরির মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে চিড়িয়াখানার সেডে বন্দি ২০/২৫ টি ময়ূরের মধ্যে একটি ময়ূর পেখম মেলে নাচতে শুরু করে। ওই সেডের সামনে থাকা দর্শনার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কড়াকড়ি আরোপ থাকলেও প্রায় সবাই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন ছবি তোলার জন্য। মুঠো ফোনে ছবি তোলার পাশাপাশি কেউ শিস বাজিয়ে, কেউবা হাত তালি দিয়ে, কেউ আবার মুখে নানা রকম শব্দ করে নৃত্যরত ময়ূরটিকে উৎসাহ যোগান।
বেচারা ময়ূরও কম যায় না। দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনে নিজেকে আজ উজার করে দিতে প্রস্তুত যেন সে। কোমর দুলিয়ে, কণ্ঠে মিষ্টি-মধুর শব্দ তুলে, চারিদিকে ঘুরে ঘুরে টানা ৭ মিনিট নেচে যায় ময়ূরটি। ঈদের আনন্দ যেন তাকেও ছুঁয়ে গেছে।
এরই মধ্যে আশপাশে অন্য প্রাণির সেডের সামনে থাকা দর্শনার্থীরা দৌড়ে এসে নাচ দেখার জন্য ময়ূরের সেডের সামনে ভিড় জমায়।
পরে মানুষের কোলাহল বেড়ে যাওয়ায় ৭ মিনিটের মাথায় নৃত্য বন্ধ করে ময়ূরটি। এই ৭ মিনিটের মধ্যে যারা নৃত্যু দেখার সুযোগ পান, তাদের অনেকেরই অভিমত- জীবনে অনেকবার চিড়িয়াখানায় এসেছেন, কিন্ত এমন ঘটনার স্বাক্ষী হলেন এই প্রথম।
সাধারণত স্ত্রী ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্যই পুরুষ ময়ূর পেখম তোলে। স্ত্রী ময়ূরও পেখম তোলে। তবে পুরুষ ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্য নয়, শত্রুকে ভয় দেখানোর জন্য। স্ত্রী ময়ূরের পেখম আকারে ছোট হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
এজেড/জেডএম