ঢাকা: নতুন প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, কোনো এক কালে মঙ্গল ছিলো পৃথিবীর মতো। সেখানকার বায়ুমণ্ডলে ছিলো অক্সিজেন।
নাসার কিউরিসিটি রভারের অনুসন্ধানে, মঙ্গলের বৃষ্টিহীন ও বায়ু প্রবাহিত পৃষ্ঠ পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, রহস্যময় গ্রহটি একসময় দেখতে ছিলো অনেকটাই পৃথিবীর মতো। কারণ ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড শুধু অক্সিজেন সমৃদ্ধ ও ভেজা অবস্থায় ক্ষেত্র গঠন করতে পারে। মঙ্গল শিলাস্তরে পাওয়া ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড এখন থেকে ৩.৪ বিলিয়ন বছর আগে বছর আগে গঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলের প্রাথমিক ইতিহাসে ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড জমা হতে পানি ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ পরিমণ্ডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মঙ্গলপৃষ্ঠ খনন করে এ মার্টিয়ান ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
পৃথিবীতে ভূপৃষ্ঠের জল প্রবাহিত হয়ে ভূগর্ভে যে উপকরণ সঞ্চয় করে তাতে ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইডের স্তর পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলেন, পানিতে আগ্নেয় শিলা দ্রবীভূত হয়ে ম্যাঙ্গানিজ সঞ্চয় করে। ম্যাঙ্গানিজ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে অক্সিজেনপূর্ণ বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ইন্টারেক্ট করে। ফলে দ্রাব্য পদার্থ পরে ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড হিসেবে জমা হয়।
রহস্যময়, তবে এ অনুসন্ধান দুটো জিনিসের শক্তিশালী নির্ধারক। প্রথমত, তরল পানি যা লাল গ্রহে প্রচুর পরিমাণে ছিলো। আরেকটি হচ্ছে শক্তিশালী অক্সিডেন্ট। জানান নিউ মেক্সিকোর লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক নিনা লাঞ্জা।
আমরা জানি, এ প্রক্রিয়া এখন মঙ্গলে অব্যাহত নেই। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সত্যিই কি অতীতে মঙ্গলে এতো পরিমাণ অক্সিজেন ছিলো? আমরা জানি না এটি কী করে সত্য হবে। কিন্তু সঞ্চিত ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড তো বলছে এমনটাই হয়েছে। জানান তিনি।
মঙ্গল যে অক্সিজেনপূর্ণ ছিলো, এ কথাটি এখনও বিতর্কমূলক। এর জন্য প্রয়োজন আরও গবেষণা। কারণ কয়েক বিলিয়ন বছর আগে নতুন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেন তৈরি হয়েছিলো সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামের একপ্রকার অর্গানিজম থেকে।
লাঞ্জা বলেন, মঙ্গলে অক্সিজেন প্রাচীন মহাসাগর থেকে ছড়াতে পারে। তার বিশ্বাস, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পাতলা হয়ে উঠেছে। সৌর বিকিরণ বেড়ে যাওয়ায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন জল অণু ভেঙে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
এসএমএন/এএ